কোয়ার্টার ফাইনালে গোকুলাম কেরালাকে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট পাকা করে ইস্টবেঙ্গল। এবার ১৯ বছরের খরা কাটানোর চ্যালেঞ্জ লাল-হলুদ ব্রিগেডের সামনে। প্রায় ২ দশক আগে শেষবার ডুরান্ডের ফাইনালে খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার ফাইনালে উঠতে বদ্ধপরিকর দল। তবে সেমির লড়াইয়ে নামার আগে নর্থইস্টকে যথেষ্ট সমীহ করছেন লাল-হলুদের হেড স্যার। এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় ১০ গোল করেছে নর্থইস্ট। ফলে এই গোল সংখ্যায় বলে দিচ্ছে কতটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে দলটা।
advertisement
তাই দলের রক্ষণভাগ নিয়ে বাড়তি কাজ করতে দেখা গিয়েছে কুয়াদ্রাতকে। ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষকে নিয়ে সমীহের সুরে বলেছেন, ‘গোকুলমের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল আমরা জিতেছি ঠিকই। তবে কঠিন লড়াইয়ের সামনে পড়তে হয়েছিল। এই টুর্নামেন্টে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এখনও পর্যন্ত অপরাজিত। ওদের দলে তরুণ ও অভিজ্ঞ ফুটবলারদের সংমিশ্রণ ভালো আছে। ওদের দল খুব ভালো লড়াই করতে পারে। এই ম্যাচে আমাদের জন্য আরও কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।’
নর্থইস্টকে সমীহ করার পাশাপাশি নিজের দলের জন্য পরিকল্পনাও তৈরি করে ফেলেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। প্রতিপক্ষ যেহেতু আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে তাই রক্ষণকে বাড়তি মজবুত করে চকিতে কাউন্টার অ্যাটাক ফুটবল এই ম্যাচে খেলতে দেখা যেতে পারে ইস্টবেঙ্গলকে। একইসঙ্গে জোর দেওয়া হচ্ছে সেট পিসের উপরও। কোয়ার্টার ফাইনালে সেট পিস থেকে গোল পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সব মিলিয়ে কুয়াদ্রাতের মাস্টার প্ল্যান তৈরি বলা যেতেই পারে।
আরও পড়ুনঃ Asia Cup 2023: সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেখুন এশিয়া কাপ, ক্রিকেট প্রেমিদের জন্য সুখবর, জেনে নিন কীভাবে
অল্প সময়ের মধ্যে দলের এক ঝাঁক নতুন প্লেয়ার যেভবে মানিয়ে নিয়েছে তাতে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী দেখা গিয়েছে কুয়াদ্রাতকে। বিদেশী বোরহা হেরেরা, সিভেরিও, এলসে, ক্রেসপো, পার্দো লুকাসরা ভালো ছন্দে রয়ছে। ভারতীয় ফুটবারদের মধ্যে নন্দকুমার শেখর, নিশু কুমার, মন্দার রাও দেশাইরাও নিজেদের সেরাটা উজার করে দিচ্ছে। গোলপোস্টের নীচেও দলকে ভরসা দিচ্ছেন প্রভসুখন গিল। দীর্ঘদিন পর সেই হার না মনোভাবটাই এই ইস্টবেঙ্গল দলের প্রধান শক্তি। সেই জোরেই ফাইনালের স্বপ্ন দেখেছে ফ্যানেরা।
