ম্যাচের ফলাফল ড্র হলেও নৈতিক জয় বাগানের তা বলাই যায়। পয়েন্টের বিচারে ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করল সবুজ মেরুন বাহিনী আর ইস্টবেঙ্গলের ঝুলিতে মাত্র ২। আর একটু স্পষ্ট করে বলতে হলে বলতে হবে ডর্বিতে হার বাঁচালো ইস্টবেঙ্গল। শেষ উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে অয়ন ভট্টাচার্য ও অমিত কুইল্যা যে লড়াইটা করলেন। সেটা না হলে নিশ্চিত হার ছিল ইস্টবেঙ্গলের। দশ উইকেটে ১৯ রান যোগ করার পাশাপাশি দু’জনে টিকে রইলেন প্রায় কুড়ি ওভার। ক্রিজে সময় কাটালেন ঘণ্টাখানেক।
advertisement
আরও পড়ুন– ঠিক যেন লিপস্টিকে রাঙানো ঠোঁট; এই গাছকে দেখামাত্রই চুমু খেতে ইচ্ছা করবে
ইস্টবেঙ্গলের শেষ উইকেটটা যদি মোহনবাগান তাড়াতাড়ি নিতে পারত তাহলে ম্যাচ জয়ের প্রবল সম্ভাবনা ছিল। তবে সরাসরি ফয়সালা না হলেও সেরা ম্যাচের সাক্ষী থাকল ইডেন। সিএবি পরিচালিত প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ডার্বিতে জোরে বোলারদের দাপট চোখে পড়ল। তিন দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ৬০.৪ ওভারে ১০ উইকেটে ১৭৪ রানে অলআউট হয়েছিল। জবাবে মোহনবাগান এ.সি ৬৬.২ ওভারে ১০ উইকেটে ১৮৯ রানে শেষ হয়ে যায়। যদিও একসময় ওপেনিং এ বিনা উইকেটে ১২৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিল মোহনবাগান। প্রথম ইনিংসে মোহনবাগানের সুদীপ কুমার ঘরামী ৬৪ রান করেন। ওপেনিং জুটিতে অঙ্কুর পালকে সঙ্গী করে মোহনবাগানের শুরুটা ভালো করেছিল কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের অমিত কুইল্যা ও অয়ন ভট্টাচার্য ৩টি করে উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের দাপুটে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে রাশ টানেন। তবে ২৭ রান অতিরিক্ত না দিলে প্রথম ইনিংসে ১৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড পেত না মোহনবাগান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ৭৩.২ ওভারে ১০ উইকেটে ১৬৯ তোলে। সৌরভ পাল ৫৮ ছাড়া বড় রান নেই। তবে হার বাঁচানো লড়াই করেন অয়ন ও অমিত। মোহনবাগানের বোলিং আক্রমনের নেতৃত্বে ঈশান পোড়েল। ৪ উইকেট নিয়ে লাল হলুদকে ভাঙেন তিনি। তবে শেষ ঘণ্টায় জয়ের জন্য ১৫৫ তুলতে হতো বাগানকে। কাজটা কার্যত অসম্ভভব হলেও একটাও মরিয়া চেষ্টা করে বাগান শিবির। তবে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে মোহনবাগান এ.সি ১৩ ওভারে ১ উইকেটে ৯৪ তোলে। তিন দিনের শেষে কলকাতা ক্রিকেট ডার্বি ম্যাচ ড্র হয়। মোহনবাগান এ.সি পেল ৮ পয়েন্ট এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাব পেয়েছে ২ পয়েন্ট। মোহনবাগানের সুদীপ ঘড়ানি ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন।