আরও পড়ুন - ATKMB vs Odisha FC : রয় কৃষ্ণর লাল কার্ড, ওড়িশার লড়াইয়ে আটকে গেল এটিকে মোহনবাগান
এবার নতুন ইনভেস্টারের খোঁজে নিজেদের গোড়ার দিকে নজর দিল ইস্টবেঙ্গল। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আসন্ন মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টার বা বড় স্পনসর হিসেবে দেখা যাবে বসুন্ধরা গ্রুপকে। এদিন বাংলাদেশের প্রথম সারির উদ্যোগপতি তথা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহানকে ক্লাব তাঁবুতে সংবর্ধিত করে ইস্টবেঙ্গল। উত্তোরীয় পরিয়ে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক। একই সঙ্গে উপহার দেওয়া হয় ক্লাবের জার্সি, সোনার কয়েন, কলকাতার মিষ্টি। আজীবন সদস্য পদ দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন -IPL 2022: আইপিএল ২০২২ শুরু ২৬ মার্চ, মাঠে থাকবে দর্শক! ফাইনাল কবে জেনে নিন
এই অনুষ্ঠানে সায়েম সোবহানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী সাবরিনা সোবহান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি মহম্মদ ইমরুল হাসান এবং বাংলাদেশের অন্যান্য গণ্যমান্যরা। এ দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব কল্যাণ মজুমদার আবেগঘন কন্ঠে সবাইকে স্বাগত জানান। সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এর সহ সভাপতি দুজনেই তাঁদের বক্তব্যে দুই বাংলার জনপ্রিয়তার কথা তুলে ধরেন।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার তাঁর বক্তব্যে বলেন, এক সময় দুই বাংলা এক ছিল এবং শিল্প, সাহিত্য, খেলাধুলা এবং জীবনাদর্শে সারা পৃথিবীর সামনে উজ্জ্বল হয়েছিল। কোনও এক অজানা দেওয়ালের কারণে আমাদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ সেই একই রকম রয়েছে। আজ সেই হৃদয়ের টানেই দুই বাংলার আবার এক সাথে চলা প্রয়োজন। সোবহান এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাব মিলিত ভাবে দুই বাংলার সমন্বয়ের কাজ করতে পারে।
লাল-হলুদের তরফ থেকে পাওয়া সম্মানে অভিভূত সোবহান বলেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে নিজের ক্লাব বলেই সবসময় ভেবেছি। তাই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে যখন আমন্ত্রণ আসে তখন আর 'না' বলিনি। আর আজকের এই অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যেভাবে হৃদয় দিয়ে আমাদের কাছে টেনে নিয়েছেন, আমরাও চাই দুই বাংলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ ও সাধারন মানুষ আগামী ভবিষ্যতে আরো কাছাকাছি আসতে পারে। আমরা আন্তরিক ভাবে এই কাজে সচেষ্ট হব।
ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা ভাল করেই জানেন গত কয়েক বছর ধরে ব্যর্থতা তার সহ্য করবেন না সর্মথকরা। পরের বছর আইএসএলে ভালো কিছু করতে হলে, প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখন থেকেই। সেই কারণেই বাংলাদেশে বসুন্ধরা হয়তো স্পন্সর হতে পারে লাল-হলুদের।