আসলে বঙ্গ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা CAB-তে মাঝেমধ্যে এমন কাণ্ড ঘটে যা সহজে বোধগম্য হবে না কারও। যেমন ধরুন, মাঠ শুকনো, কিন্তু খেলার উইকেট ভেজা। দুটো দল মাঠে পৌঁছে দেখল, পিচ যে ভেজা তার খবর কিউরেটর রাখেন না। তাই মান বাঁচাতে পাশের মাঠে তাড়াতাড়ি খেলা শেষ করতে হয়। অর্থাৎ একই মাঠে একই দিনে দুটি খেলা।
advertisement
এটা তো গেল সাম্প্রতিক সময় মেয়র্স কাপে ঘটা একটা ঘটনা। তবে এই ঘটনা মাঝেমধ্যেই হয়। এমনকী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পরিচালিত মেয়েদের ম্যাচ পরিচালনা করতে গিয়েও ধাক্কা খেতে হয়েছিল সিএবিকে। অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের ম্যাচ আয়োজনের জন্য নির্দিষ্ট মাঠ তৈরি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বারাসাতে ম্যাচ আয়োজন করতে হয়।
সেই সময় বিসিসিআই-এর তরফ থেকে কড়া চিঠি এসেছিল সিএবিতে। ক্লাব ক্রিকেটের ম্যাচেও এরকম ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটে। যদিও কর্তারা বলেন “কমিউনিকেশন গ্যাপ”। তবে এবার যে ঘটনা ঘটল সেটা নিয়ম ভাঙার খেলা।
কী ঘটনা? কলকাতা পৌরসভা এবং সিএবি উদ্যোগে আয়োজিত হওয়া অনূর্ধ্ব ১৫ স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অর্থাৎ মেয়র্স কাপের ম্যাচে আম্পায়ারের ভূমিকায় দেখা গেল ডাক্তারকে। না এখানে কোনও সমস্যা নেই, একজন ডাক্তার আম্পায়ার হতেই পারেন। কিন্তু তিনি যেরকম ডাক্তারি করার জন্য পরীক্ষায় পাস করে তার পর সেই পেশায় রয়েছেন, ঠিক সেরকমই ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনা করার জন্য আম্পায়ারিং পরীক্ষায় পাশ করা প্রয়োজন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সেই ব্যক্তি সিএবির আম্পায়ারদের পরীক্ষায় পাস করেননি। অর্থাৎপ্যানেল ভুক্ত নয়, এরকম আম্পায়ার ম্যাচ পরিচালনা করলেন।
আম্পায়ারদের একাংশের দাবি, করোনাকালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত নতুন আম্পায়ার নেওয়ার কোনও পরীক্ষা হয়নি। শুধু গ্রেডেশনের পরীক্ষা হয়েছে। ফলে ডাক্তার নীলোৎপল দত্ত কীভাবে ম্যাচ পরিচালনা করলেন? ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টের দুটি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে স্কুল টুর্নামেন্টের চেয়ারম্যান শুভদীপ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আম্পায়ার নিয়োগ করার কাজ তাঁর নয়। তার জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটি রয়েছে, তারাই উত্তর দিতে পারবেন। আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, তাঁর কাছে কাগজ রয়েছে সেই প্যানেলে ডাক্তার দত্তের নাম রয়েছে। তিনি আম্পায়ারিং করার জন্য তালিকাভুক্ত।
আরও পড়ুন- বিবাহিত যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে বিদেশী সুন্দরীর ছবি ভাইরাল! হইচই ফেলে দিল মাত্র দুটো ছবি
যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেল, আম্পায়ারদের যে তালিকা সিএবিতে রয়েছে তাতে কোনও ব্যক্তির সই নেই। অর্থাৎ ডাক্তার নীলোৎপল দত্ত পাস করলেন কীভাবে কিংবা কবে করলেন, তার কোনও উত্তর পাওয়া মুশকিল। তবে ময়দানের জল্পনা, ডাক্তারবাবু নিজে একজন বিচক্ষণ আম্পায়ার।
