দিয়েগো মারাদোনার বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। কিউবার মাভিস আলভারেজ নামের এক মহিলা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, মারাদোনা তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। আর্জেন্টাইন তারকা তাঁর শৈশব কেড়ে নিয়েছেন। আলভারেজের দাবি, ২০০১ সালের ঘটনা এটি। সেই সময় মারাদোনার বয়স ছিল ৪০। এবং সেই সময় মাভেসের বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ফুটবলার মারাদোনা গত বছর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। মৃত্যুর পরও বিতর্ক যেন মারাদোনার পিছু ছাড়ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন- ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট ‘আমল’ বদল, নতুন রোহিত সতীর্থদের থেকে ‘এটা’ চাইলেন
মাভিস আলভারেজ বলেছেন, তিনি প্রথম একটা সময় মাদকাসক্তির চিকিত্সার জন্য কিউবায় ছিলেন মারাদোনা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ফুটবলের রাজপুত্রের প্রথম দেখা হয়। অ্যালভারেজ আরও দাবি করেছেন, মারাদোনা তাঁকে হাভানার ক্লিনিকে ধর্ষণ করেছিলেন। সেই সময় তাঁর মা পাশের ঘরে ছিলেন। ওই ক্লিনিকে মায়ের সঙ্গে থাকতেন বলে দাবি করেছেন আলভারেজ। তিনি আরও বলেছেন, “ও আমার মুখ চেপে ধরেছিল। তার পর আমাকে ধর্ষণ করে। আমি এটা নিয়ে আর বেশি ভাবতে চাই না। এতগুলো বছর ধরে সেই নির্যাতনের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি।"
৩৭ বছর বয়সী আলভারেজ বলেন, বয়সের বিশাল ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও তাঁর পরিবার মারাদোনার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে বাধ্য করেছিল। কিউবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে মারাদোনার সম্পর্ক ভাল ছিল। আর তাই মারাদোনার সঙ্গে বন্ধুত্বেরজন্য তাঁর পরিবারকে বাধ্য করেছিল কিউবার সরকার।
আরও পড়ুন- বিনা বিয়েতে ‘বাবা’ ভারতীয় দল থেকে বিদেশি ক্রিকেটার পেয়েছেন এই স্বাদ
মাভিস আলভারেজ বলেছেন, “কিউবান সরকার জড়িত না থাকলে আমার পরিবার কখনোই এটা মেনে নিতে পারত না। তারা অন্যভাবে এমন একটি সম্পর্ককে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল যা তাদের জন্য বা কারও জন্য ভাল ছিল না।" কিউবার সরকার ওই মহিলার অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। আলভারেজ বলেছেন, তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আরও জানিয়েছেন, তিনি আর্জেন্টিনায় থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটাও সম্ভব ছিল না। কারণ আর্জেন্টিনায় মারাদোনা সুপারস্টার। ব্যক্তি হিসেবে মারাদোনা খুবই জঘন্য, এমনও দাবি করেছেন আলভারেজ।