ফুটবল প্রেমীদের মন থেকে সেই দৃশ্য মুছে যায়নি। কয়েক মিনিট লড়াই চলে জীবন এবং মৃত্যুর মাঝে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন ফিরে পান এই তারকা ফুটবলার। মাঠের মধ্যে তার সতীর্থ এবং স্ত্রীর কান্না মুছে যায়নি ফুটবলপ্রেমীদের মন থেকে। পরবর্তীতে তার শরীরে কার্ডিওভার্টার ডেফিব্রিলেটন বসানো হয়। যন্ত্রটি হৃদরোগীদের হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে।
advertisement
কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে এবং ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুসারে এরিকসেনকে না খেলানোর কথা জানায় ইন্টার মিলান। ফলে ফ্রি এজেন্ট হিসাবে ইংলিশ ক্লাব ব্রেন্টফোর্ডে যোগ দেন এরিকসন। ক্লাবের হয়ে এরইমধ্যে দুটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। এবার ফিরলেন ডেনমার্কের জাতীয় দলের স্কোয়াডে প্রত্যাবর্তন করে হুমকির মুখে পড়ে যাওয়া ক্যারিয়ারের যেন পুনর্জন্ম ঘটালেন টটেনহাম ও ইন্টার মিলানে খেলা এই ফুটবলার।
ডেনমার্কের জাতীয় দলের কোচ ক্যাসপার হুমল্যান্ড জানিয়েছেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন এরিকসনের সঙ্গে। প্রিমিয়ার লিগে তার শেষ দুটো খেলা গোটা দেখেছেন। ফিটনেস এবং বুদ্ধির দিক থেকে আগের মতোই চনমনে মনে হয়েছে তার। এরিকসনের ব্যক্তিগত ডাক্তারও এখন সেভাবে ঝুঁকি দেখতে পাচ্ছেন না।
তাই তার মত জাত ফুটবলারকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই বছরের শেষে কাতার বিশ্বকাপেও ডেনমার্কের জার্সিতে দেখা যাবে এরিকসনকে। ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে যেতে তার ফিরে আসার কাহিনী সত্যি প্রেরনা দেবে কোটি কোটি মানুষকে।