দীপায়নের বাবা দীপঙ্কর গায়েন সামান্য সেলস্ ম্যানের কাজ করেন। মা প্রিয়ম্বদা গায়েন সাধারণ গৃহবধূ। নিম্ন মধ্যবিত্ত এই পরিবারের একমাত্র সন্তান দীপায়ন। ছোট থেকেই ফুটবলের প্রতি চরম ভালবাসা এই বছর পনেরোর ছেলেটির। দীপঙ্কর কখনই চাইতেন না ছেলে ফুটবল খেলুক। তাই ছেলের খেলার জুতো, জার্সি একাধিকবার কেটে, পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রিয়ম্বদা চাইতেন ছেলে নিজের ইচ্ছেশক্তি দিয়েই খেলুক ফুটবল। দীপায়নের একাগ্রতা ও চরম অনুশীলনের কারনেই অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে সে। বাংলা থেকে এই দলে মাত্র দুজন খেলোয়াড় এবার সুযোগ পেয়েছে। ছেলের এই সাফল্যে খুশি প্রিয়ম্বদা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ IND vs ENG: ইংল্যান্ডে জোড়া বিশ্বরেকর্ড গড়ার সুযোগ পন্থের সামনে, আরও একবার নিজেকে প্রমাণের লড়াই
ছোট থেকে গোল করা নয়, বিপক্ষকে গোল না করতে দেওয়াতেই উৎসাহ পেত দীপায়ন। তার পছন্দের জায়গা ডিফেন্স। তবে লেফট ব্যাকেও সমান স্বাচ্ছন্দ্য সে মাঠে। কখনই বিপক্ষের স্ট্রাইকারদের কাছে হার না মানার মানসিকতা ও ফুটবল কৌশলও দীপায়নকে এই জাতীয় দলে সুযোগ করে দিয়েছে। ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ডানা কাপে ডাক পেয়েছিল দীপায়ন। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতির কারণে সে যেতে পারেনি সে সময়। তবে ২০২৩ সালে অনূর্ধ্ব ১৪ বাংলা দলে খেলেছে সে। দীপায়নের এই সাফল্যে খুশি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে বিধায়ক। পঞ্চায়েত প্রধান দীপায়নের বাড়িতে গিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন। দেন পাশে থাকার বার্তাও।
সুমন সাহা