তাঁরা শরীরের যত্ন নেন। বিহার রঞ্জি দলের প্রধান কোচ বিকাশ কুমার বলছিলেন, ক্রিকেটাররা তাঁদের শরীরে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ চর্বির পরিমাণ বজায় রাখেন। তার থেকে বেশি হলে সেই ক্রিকেটার আনফিট হয়ে যতে পারেন। তখন তাঁকে ম্যাচ ফিট হতে কসরত করতে হবে।
পেশীবহুল এবং চর্বিবিহীন শরীর বজায় রাখতে ক্রিকেটাররা নিয়মিত ব্যায়াম করেন। তবুও খাবারের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হয়। ফিটনেসের দিক থেকে রঞ্জি পর্যায়ের ক্রিকেটাররাও পেশাদার অ্যাথলিটের চেয়ে কম নন।
advertisement
আরও পড়ুন- চাপের মুহূর্তে সচিন-উদয়ের ম্যাচ উইনিং ইনিংস, নবমবার ছোটদের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত
বিকাশ আরও ব্যাখ্যা করেন, ম্যাচ খেলতে খেলোয়াড়দের প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। এই কারণেই খেলোয়াড়রা তাদের ফিটনেসের জন্য তাদের খাবার এবং পানীয়ের খুব যত্ন নিতে হয়। সঠিক খাবার কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
ম্যাচের আগে, খেলা চলাকালীন ও খেলার পরে ক্রিকেটারদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নেন দলের ডায়েটিশিয়ান। ক্রিকেটারদের প্রতি ২ ঘন্টা অন্তর কার্বোহাইড্রেট এবং তরল সমৃদ্ধ খাবারের সাথে একটি হাই প্রোটিন খাখাবার (চিকেন, সয়া, পনির) দেওয়া হয়। ক্রিকেটারদের ডায়েটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল সেদ্ধ ডিম।
বিহারের রঞ্জি ক্রিকেটার সচিন কুমার সিং বলেছেন, তিনি খাবারে কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম রাখেন। পনির, ডাল, শাকসবজি, আটার রুটি ইত্যাদি সাধারণ খাবার খেতে পছন্দ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, সকালের খাবারে রঞ্জি ক্রিকেটারদের সেদ্ধ ডিম, ভেজ স্যান্ডউইচ, ফলের সালাড, জুস, চা, কফি, অঙ্কুরিত মুগ, সেদ্ধ ছোলা, কাস্টার্ড ও দই দেওয়া হয়।
দুপুরের খাবারে থাকে রুটি, ভাত, চিকেন দো প্যায়াজা (কম মশলা-সহ), মাছ, মুরগির মাংস, ডিম, ডাল, ভাপানো সবজি, পাপড়, সালাদ এবং বাটার মিল্ক। সন্ধেবেলা চা, ডিম পাকোড়া ইত্যাদি। একজন সাধারণ মানুষ এবং ক্রিকেটারের খাদ্যাভাসে অনেক পার্থক্য থাকে।