#কলকাতা: ২০০২ এর ১৩ জুলাই। সময়ের হিসেবে সতেরো বছরেরও বেশি। তবু দিনটার কথা মনে পড়লে আজও নস্টালজিয়ায় ডুবে যান সেদিনের লর্ডসের নায়ক। ৩২৫ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে সৌরভের ভারত। সেই অবস্থা থেকে সেদিন ম্যাচ বের হয়েছিল তাঁর ব্যাটে ভর করে। আর বোধহয় বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। ৭৫ বলে দুরন্ত ৮৭। আর তাতেই লর্ডসের ব্যালকনিতে উড়েছিল প্রিন্স অফ ক্যালকাটার টি-শার্ট। সতেরো বছরের ব্যবধানেও সেদিনের প্রত্যেকটা মিনিট গড়গড় করে বলে দিতে পারেন দিল্লি ক্যাপিটালসের সহকারী কোচ।
advertisement
কাইফ বলছেন,‘‘ ম্যাচ জিতে জাহিরকে সঙ্গে নিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে সবে পা বাড়িয়েছি। দেখলাম দাদা, রাহুলভাই, কুম্বলেভাই দৌড়ে আসছে। কাছাকাছি আসতেই দাদা আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। আমি দাদার এইরকম একটা সেলিব্রেশনের জন্য একদমই তৈরি ছিলাম না। মুহূর্তে শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়লাম। কোমড়ে ভাল চোট পেয়েছিলাম। তবে দাদার ওই আবেগকে আজও শ্রদ্ধা করি।পুরো দলটাকে এক সুতোয় বেঁধে দিয়েছিল সৌরভ।’’
লড়াকু মেজাজের জন্য কাইফ সেই ক্রিকেট জীবন থেকেই সৌরভের বরাবর প্রিয়। আইপিএল-এ দিল্লি ক্যাপিটলাসের দায়িত্ব পেয়েই কাইফকে ডেকে নিয়েছিলেন সৌরভ। এবার দিল্লির ড্রেসিংরুমে দাদা-কে মিস করবেন। বলছিলেন মহম্মদ কাইফ।
আরও পড়ুন - আপনার লকারে ‘বেকার’ পড়ে রয়েছে সোনা! নয়া ভাবনায় মোদি সরকার
আইপিএলের নিলাম সেরে শুক্রবার তড়িঘড়ি লখনউ ফেরার আগে বন্ধু ও ক্রীড়া উদ্যোগপতি শতদ্রু দত্তর অনুরোধে একসময়ের সতীর্থ শিবশঙ্কর পালকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেছিলেন অনাথ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে। নিজে হাতে কেক কেটে খাইয়ে দিলেন শিশুদের। চকোলেট তুলে দিলেন ওঁদের হাতে। হালকা মেজাজে আড্ডা দিলেন। বিমান ধরার তাড়ার মধ্যেই কলকাতায় দাঁড়িয়ে ছুঁড়ে দিলেন চ্যালেঞ্জ,‘‘লিখে রাখুন, আইপিএল-এ এবার বড় শক্তি দিল্লি। পরিকল্পনা মত দলও তৈরি।’’
আরও দেখুন