সেদিন খেলা চলাকালীন ঝড় আসায় খেলা থমকেছিল আর তারপর ভারতের টার্গেট বদলে গিয়েছিল ৷ সচিন জানিয়েছেন, সে সময় তাঁর বেশ খারাপ লেগেছিল ৷ সচিনের মতে সে সময় সকলের অসহ্য লাগছিল৷ চার ওভার কেটে নেওয়া হয়েছিল অন্যদিকে রান কমেছিল মাত্র ৯ ৷ ফলে অনেক কম ওভারে জয়ের জন্য অনেক বড় রান তাড়া করতে হচ্ছিল দলকে ৷
advertisement
সচিন বলেছেন, ‘‘ আমরা ড্রেসিমরুমে নতুন বদলে যাওয়া টার্গেট নিয়ে ভাবছিলাম৷ ভাবছিলাম কি করব ৷ ধীরে ধীরে খেলা শুরু হল ৷ খেলা কমে ৪৬ ওভার হয়ে গেল আর যদি ভুল না বলি তাহলে টার্গেটের থেকে মাত্র ৮-৯ রান কমানো হয়েছিল ৷ আমি ভীষণ ভেঙে পড়েছিলাম৷ ’’
সচিনের শতরান মেন ইন ব্লুকে ফাইনালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল ৷ পাশাপাশি সেই একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একদিন বাদে ফাইনাল খেলতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে ৷ নিউজিল্যান্ডকে রানরেটে টেক্কা দিয়ে ফাইনালের টিকিট জিতেছিল ভারত ৷
সচিন বলেছেন, ‘‘এটা আমাদের প্রথম অভিজ্ঞতা ৷ আমি কখনও মরুঝড় দেখিনি ৷ আমি যখন ওটা প্রথম দেখেছিলাম তখন মনে হয়েছিল আমি উড়ে যাব ৷ অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ঠিক আমার পিছে দাঁড়িয়েছিল ৷ ঝড়টা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ভুলে গিয়েছিলাম সোশ্যাল ডিসটেন্সিং কী জিনিস ৷ আমার মনে হয়েছিল ওকে জাপটে ধরি ঝড়ের গতিতে হাওয়া বইছিল আমি মনে করছিলাম যাক বাবা ৮০-৯০ কেজি-র গিলক্রিস্টকে জড়িয়ে ধরে রেখেছি ৷ আম্পায়ার যখন মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছিল তখন আমি মনে এটাই ভাবছিলাম৷ ’’
ফাইনালে সচিন শতরান করেছিলেন আর তাঁর শতরানে ভর করেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত ৷
