সহ-সচিব কলকাতায় নির্দিষ্ট সময়ে এসে পৌঁছানোর আগেই ফাইনাল শেষ হয়ে যায়। চতুর্থ দিন অসম থেকে ১১ঃ০০ টার সময় ফ্লাইট ছিল। তিনি জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জয় শাহ প্রথমে বলেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থাকলে তাঁকে দিয়ে যেন পুরস্কার দেওয়া হয়! কারণ তিনি বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি।
আরও পড়ুন- পাক ক্রিকেটের চেয়ারম্যান হলে ভারতের দাদাগিরি শেষ করে দেব! হুমকি শোয়েবের
advertisement
সূত্রের খবর, জয় শাহ এর পর অভিষেক ডালমিয়া কে ফোন করেন। সৌরভ শহরের নেই জানতে পেরে জয় শাহ অভিষেককে বলেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তিনি যেন তুলে দেন।
স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ভেবেছিলেন, তিনি ট্রফি দেবেন। এমনকি তিনি নাকি অভিমানে সেদিন বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। সেই মুহূর্তে সিএবির কয়েকজন কর্তা বিষয়টি বোঝান তাঁকে।
বিসিসিআই সচিব জয় এর নির্দেশে অভিষেক ট্রফি দেন। রানার্স দলকে ট্রফি তুলে দেন স্নেহাশিস। এতেই তেলে বেগুনে রেগে যান সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।
এখানে বিষয়টি থেমে যেতে পারত। কিন্তু সোমবার বিষয়টি নিয়ে আরও জল ঘোলা হয়। সিএবিতে একটি ঘর রয়েছে, যেখানে প্রাক্তন সিএবি সভাপতি হিসেবে অভিষেক এবং সৌরভের নাম ছিল। দেখা যায় সেই নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে। তার পরিবর্তে প্রাক্তন বি সি সি আই সভাপতি হিসেবে সৌরভের নেমপ্লেট লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- একের পর এক খারাপ পারফরম্যান্সের জের!সরানো হল রাহুলকে! কিন্তু কে হবেন সহ-অধিনায়ক
এমনকী ঘর থেকে অভিষেকের জন্য নির্ধারিত চেয়ার টেবিল যেটি ছিল সেটিও বের করে দেওয়া হয়। এর পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিষেক ডালমিয়া। সিএবি থেকে এই খবর পেয়ে তিনি রীতিমতো রেগে যান বলে খবর।
কোনদিনও সিএবিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিষেক ডালমিয়া। সৌরভের কানে যেতেই বিষয়টা মেটাতে আসরে নামেন তিনি। সৌরভ ফোন করে অভিষেককে নিজের বাড়িতে ডাকেন। দুজনের মধ্যে মঙ্গলবার দীর্ঘ কথা হয় বলে খবর।
তার পরই নাকি সিএবিতে সৌরভের নামাঙ্কিত নেম প্লেট খুলে নতুন একটি নাম প্লেট লাগানো হয়। সেখানে কারোর নামই লেখা নেই। শুধু লেখা রয়েছে প্রাক্তন সিএবি সভাপতিদের রুম।
বিষয়টি মেটানোর জন্য বুধবার সন্ধ্যেবেলা সিএবিতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন মহারাজ। প্রত্যেকের ঘরে আলাদা করে বৈঠক করেন বলে খবর। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ সৌরভ।
এইভাবে তাঁকে জড়িয়ে ফেলার জন্য রীতিমতো বর্তমান কর্তাদের ওপর রেগে যান তিনি। সামান্য বিষয়টি নিয়ে এত দূর জল ঘোলা হওয়ায় বিরক্ত সৌরভ।
কিন্তু সিএবিতে প্রশ্ন কার নির্দেশে নেমপ্লেট এবং অভিষেক মিয়ার চেয়ার টেবিল খোলা হয়েছিল? সৌরভের সঙ্গে কথা বলার পর কিছুটা হলেও শান্ত হন অভিষেক। তবে রঞ্জিত ট্রফির হার ভুলে ক্রিকেট কর্তারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়েই ব্যস্ত।