TRENDING:

নমো নমো করে ডালমিয়া স্মরণ! এ কোন ময়দান! সিএবি প্রশাসন প্রশ্নের মুখে

Last Updated:

Jagmohan Dalmiya: ঘরেই ব্রাত্য জগুদা। অন্ধকারে ময়দানের প্রশাসক থেকে সিএবি সদস্যরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা : তিনি কলকাতা ময়দানের অন্যতম জনপ্রিয় প্রশাসক। তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা সর্বজনবিদিত। অথচ তাঁকে স্মরণের বদলে কলকাতা ময়দান কার্যত মুখ ফিরিয়ে রাখল!
advertisement

ভারতের সীমা পেরিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটেও যিনি ‘ভারতীয় ক্রিকেটের ম্যাকিওভেলি’ নামে পরিচিত! বিশ্বের মানচিত্রে ভারতীয় ক্রিকেটকে যিনি নতুন চেহারা দিয়েছিলেন, সেই জগমোহন ডালমিয়া কি এবার তবে নিজভূমে ব্রাত্য হয়ে পড়লেন?

বুধবার ছিল প্রয়াত ক্রিকেটকর্তার অষ্টম মৃত্যু বার্ষিকী। বরাবর এই দিনটায় বাংলার ক্রীড়া প্রশাসকরা সিএবি-তে (ইডেন গার্ডেন্স) মিলিত হয়ে সম্মান জানান, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

advertisement

আরও পড়ুন- এশিয়ান গেমসের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ বধ ভারতের, পেনাল্টি থেকে গোল সুনীলের

১৫ সেপ্টেম্বরের অনেক আগে থেকেই সিএবি-র পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয় জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপনের। রাজ্যের প্রতিটি ক্রীড়া সংস্থাকে অবহিত করা হয়। আমন্ত্রণ জানানো হয় সিএবি সদস্যদের।

ব্যতিক্রম হয়ে রইল ২০২৩। সিএবি-তে এখন নতুন প্রশাসক মন্ডলী। স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে নতুন সংগঠকরা দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলার ক্রিকেট প্রশাসনের। কিন্তু এবারেই এই দিনটায় অন্ধকারে রাখা হল রাজ্যের অন্যান্য ক্রীড়া সংস্থার প্রশাসকদের।

advertisement

অন্যবার যেখানে আইএফএ (ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন), বিওএ-র (বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন) মতো সংস্থাগুলোকে অবগত করা হয়, এবার সেখানে বিপরীত চিত্র!

এমন সন্ধ্যায় খাঁ খাঁ করছে সিএবি-র অন্দরমহল। সূর্য পাটে বসলে যে ক’জন হাতে গোণা কর্মকর্তা সিএবি-তে হাওয়া বদলে আসেন, তাঁদের বাইরে কেউ নেই।

আরও পড়ুন- ত্রিশূল, ডমরু, বেলপাতা! ‘শিব ঠাকুর’ থিমে বেনারসের নতুন স্টেডিয়াম, দেখার মতো মাঠ

advertisement

ক্রিকেট মহলে ডালমিয়ার অতি কাছের বলে পরিচিত গৌতম দাশগুপ্ত, বাবলু গাঙ্গুলি, বিশ্বরূপ দে, বাবলু কোলে, সুব্রত দত্ত মায় দেবাশীষ গাঙ্গুলিরা পর্যন্ত নেই! ডালমিয়া পুত্র অভিষেক  ছিলেন বটে। বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে বিতর্ক এড়াতে চুপ থাকলেন অভিষেক।

প্রবাদপ্রতিম প্রয়াত ক্রিকেট প্রশাসকের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে ভুলে থাকাটা ভাল মনে নিতে পারেননি বিশ্বরূপ দে, বাবলু গাঙ্গুলিরা। বলছিলেন, “ক্রিকেট যতদিন থাকবে, ততদিন অক্ষত থাকবে জগুদার কীর্তি। তাতে সিএবি কী করল বা করল না, কিছু যায় আসে না!”

advertisement

সামনেই ক্রিকেট বিশ্বকাপ। দেনা-পাওনার হিসেবে মনে আগুন, মুখে আইসপ্যাক গুঁজে ঘুরছেন অনু দত্ত, রবি মিত্রর মত ময়দানি কর্তারা।

সত্যিই কিছু এসে যায় না! কিন্তু ডালমিয়ার মতো একজন কিংবদন্তি ক্রিকেট প্রশাসকের কি এটাই পাওনা! বাংলার ক্রিকেটের উত্তরসূরিদের কাছে কি ভারতীয় ক্রিকেটের ম্যাকিওভেলির জন্য আর একটু সম্মান আশা করা যায় না? স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়রা কী বলেন!

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
নমো নমো করে ডালমিয়া স্মরণ! এ কোন ময়দান! সিএবি প্রশাসন প্রশ্নের মুখে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল