দিল্লি দেওয়া ১৯২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে সিএসকে যখন একেবারের কোণঠাসা, আর জেতার কোনও আশা নেই, তখন মাঠে নামেন ধোনি। সেই সময় দলের স্কোর ১২০ রানে ৬ উইকেট। রান বাকি ২৩ বলে ৭২। অসম্ভব হলেও ফ্যানেদের ওই যে বিশ্বাস ‘ধোনি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। ম্যাচটা হয়তো আর কিছুটা আগে নামলে ধোনি বার করে নিতে পারতেন। কিন্তু যে ইনিংসটা বিশাখাপত্তনমে খেললেন মাহি তা ‘দিল খুশ’ করে দিয়েছে সকলের।
advertisement
শেষের দিকে ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে গেলেও দেখা গেল সেই ভিন্টেজ ধোনির ব্যাটিং। ১৬ বলে ২৩১-এরও বেশি স্ট্রাইক রেটে ৩৭ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন ধোনি। সেই পুল, সেই রকেট গতির কভার ড্রাইভ, সেই কভারের উপর দিয়ে বিশাল ছক্কা, সেই লং অনের উপর দিয়ে ছয়, ধোনির ট্রেডমার্ক একাধিক শট উপহার পেলেন ফ্যানেরা। মাঠে দর্শকদের আওয়াজ শুনে বোঝার উপায় ছিল না এটা দিল্লি হোম ম্যাচ। ৪টি চার ও ৩টি ছয় মারেন ধোনি।
আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে দ্রুত গতির বল কে করেছে? জেনে নিন প্রথম পাঁচে কারা
প্রসঙ্গত, ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান করে দিল্লি। হাফ সেঞ্চুরি করেন ঋষভ পন্থ, ডেভিড ওয়ার্নার। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সিএসকে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ করে চেন্নাই। ২০ রানে ম্যাচ জেতে দিল্লি।