ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়েছে,”প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে আরসিবি-ই তিন থেকে পাঁচ লক্ষ মানুষের জমায়েতের জন্য দায়ী। আরসিবি পুলিশের কাছ থেকে যথাযথ অনুমতি বা সম্মতি গ্রহণ করেনি। হঠাৎ করেই তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে জনসাধারণ জড়ো হয়। ০৪.০৬.২০২৫ তারিখে সময়ের স্বল্পতার কারণে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেনি। যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়নি।”
advertisement
বেঙ্গালুরুর CAT বেঞ্চ, যার সদস্য ছিলেন বিচারপতি বি কে শ্রীবাস্তব এবং প্রশাসনিক সদস্য সন্থোষ মেহরা, ২৪ জুন এই মামলার রায় সংরক্ষণ রেখেছিলেন। আদেশে আরও বলা হয়েছে, “৩ জুন ও ৪ জুনের মধ্যবর্তী রাতে জনসাধারণ রাস্তায় অবস্থান করছিল এবং পুলিশ সেই জমায়েত পরিচালনায় ব্যস্ত ছিল। একই সময় রাজ্য সরকার ‘বিধান সৌধ’ প্রাঙ্গণে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল, যেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। এরই মধ্যে আরসিবি কোনওরকম অনুমতি না নিয়েই হঠাৎ করে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পুলিশ তো মানুষ, তাদের পক্ষে মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ আইন বা অন্যান্য বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়।”
জানা গিয়েছে, বিজয় মিছিল, ফ্রি পাস বিতরণ, অতিরিক্ত ভিড় এবং চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সীমিত আসনের কারণেই এই ভয়াবহ পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। যাতে অন্তত ১১ জন নিহত ও ৫০ জনের বেশি আহত হন। ঘটনার সময় অনেকে মাটিতে পড়ে যান, কেউ আবার বিশাল গেট টপকে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, স্টেডিয়ামে প্রবেশের টিকিট না থাকা অনেক উৎসাহী দর্শক টিকিটধারীদের সঙ্গে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে এই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়, যা পরে এক ভয়াবহ পদপিষ্টের রূপ নেয়।