আরও পড়ুন - India Hockey : হকিতে ষোলো গোল ভারতের, ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে উঠল এশিয়ার শেষ চারে
শেষ চেষ্টাও বিফলে গেল বলা যেতেই পারে । সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া এ নিয়ে প্রথমবার বিবৃতি দিলেন। আর তাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল ঋদ্ধিমান আর বাংলার হয়ে যে কোনও মূল্যেই খেলতে চান না। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বা সিএবি চেয়েছিল ঋদ্ধিমান সাহা রঞ্জি ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলার হয়ে খেলুক কারণ গ্রুপ পর্বের শেষে বাংলা লিগ টেবিলে সবার উপরে ছিল।
advertisement
এবার রঞ্জি ট্রফি জেতার জন্য বাংলা নকআউট পর্বে লড়বে। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে খেলতে হবে বেঙ্গালুরুতে। এমন ম্যাচে দলে অভিজ্ঞ এবং বড় প্লেয়ারদের দরকার। তাই ঋদ্ধিকে দলে চেয়েছিল টিম অরুণ লাল এবং সিএবি ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তা আর হল না। অভিষেক ডালমিয়া বলেন , আমি ঋদ্ধিমানকে বলেছিলাম যে ওঁকে রঞ্জির নক আউট প্রবের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলার দরকার আছে এবং ওঁকে ওঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম।
ঋদ্ধিমান আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং জানিয়েছেন যে তিনি রঞ্জি নকআউট খেলতে ইচ্ছুক নন। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে যে বাংলা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও বেরিয়ে গিয়েছেন ঋদ্ধিমান। সিএবি - ঋদ্ধিমান তরজা প্রকাশ্যে আসে ১৭ মে। সেদিন ঋদ্ধি রঞ্জি ট্রফি দলে নাম থাকার পরেও বাংলা ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন।
খবর মেলে ঋদ্ধি বলেন সিএবি যেভাবে তার সাথে আচরণ করেছে তাতে বিরক্ত হয়েছিলেন ৩৭ বছর বয়সী উইকেটকিপার , কারণ বোর্ড তাঁকে ঘরোয়া দল ছেড়ে যাওয়ার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চেয়েছিল। তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। এতেই বিরক্ত হন ঋদ্ধিমান সাহা।
অভিষেক ডালমিয়া জানিয়েছেন ঋদ্ধিমান যদি একান্তই নিজের জেদে অনড় থাকেন, তাহলে তাকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়ে দেবে সিএবি। তবে শেষ পর্যন্ত দেখার আইপিএল শেষ হলে ঋদ্ধিমান যখন কলকাতায় ফিরবেন, তখন সিদ্ধান্ত বদল করেন কিনা।