ফুটবলারদের হাতে যতটুকু ছিল, সেখানে লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করেছেন তাঁরা। কেরলের মতো দলকে ফাইনালে ৫-০ হারিয়ে সোনা জিতেছেন। সেই কেরল যাদের কাছে সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে হেরেছিল বাংলা। জাতীয় গেমসে সার্ভিসেসের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে। আর যেখানে কর্তাদের সামান্য পরীক্ষা দেওয়ার ছিল, সেখানে তাঁরা ডাহা ফেল।
advertisement
ফুটবলারেরা ট্রেনে করে দু’রাতের উপরে যাত্রা করে ফিরছেন। অথচ, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে আইএফএ থেকে যে সব কর্তারা গিয়েছিলেন গৌরবের মূহূর্তের ভাগীদার হতে, ছবি তোলার জন্য পোজ় দিতে, কৃতিত্বের অংশীদার হতে, তাঁরা প্রত্যেকে ফিরে এসেছেন ফ্লাইট ধরেই।
কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যও ফিরে এসেছেন বিমান ধরে। যে যাঁর নিজেদের আরাম খুঁজে নিয়েছেন, অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকলেন ফুটবলারেরা। নিজের রাজ্যের ফুটবলারদের প্রতি কর্তাদের লজ্জাজনক আচরণই বলে দিচ্ছে বঙ্গ ফুটবল আজ কেন এত দীন!আমদাবাদ থেকে ট্রেন যাত্রা মানে আরও বেশি ধকলের। দু’রাতের উপরে ট্রেনে থাকতে হবে।
অমিত চক্রবর্তী, নরহরি, রবি হাঁসদা - এই নামগুলো যখন বাংলাকে গর্বিত করেছে জাতীয় স্তরে, তখন বাংলার ফুটবল কর্তাদের সামান্যতম দায়িত্ববোধ কোথায়? তারা নাকি জানিয়েছেন বিমান ভাড়ার খরচ বাঁচিয়ে সেই টাকা ভাগ করে দেওয়া হবে ফুটবলারদের মধ্যে। প্রত্যেকেই অত্যন্ত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা।
ফুটবল যাদের ধ্যান জ্ঞান এবং লড়াইয়ের অস্ত্র, তাদের এই অপমান প্রাপ্য ছিল কী ? হয়তো এরপর দোষ ঢাকার জন্য ভালো হোটেলে ফুটবলারদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কিন্তু তাদের সামান্যতম স্বার্থের কথা না ভাবাটা যে চরম অন্যায় সেই দায় এড়াতে পারেন না বাংলার ফুটবল কর্তারা।