যে মানুষটা দলের অধিনায়ক এর প্রতি এতটা সমর্থন দিয়ে এসেছেন, তার সঙ্গেই বিরাটের সম্পর্ক এই জায়গায় কিভাবে পৌঁছলো আশ্চর্যের ব্যাপার। দল নির্বাচনের বিষয়টি পুরোপুরি নির্বাচকদেরই সিদ্ধান্ত। সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের কাছে জবাবদিহি করতে কাউ বাধ্য নন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের একদিনের দল এখনও ঘোষণাই হয়নি। তবু টেস্ট দল ঘোষণার আগে একদিনের দলের অধিনায়কত্ব থেকে বিরাটকে সরানোর কথা খোদ জানিয়েছেন নির্বাচকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান চেতন শর্মা।
advertisement
ফলে বোর্ড সভাপতি বা নির্বাচকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বিরাট-প্রচেষ্টার অস্ত্রগুলি ভোঁতাই প্রতিপন্ন হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বোর্ড। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, যিনি তাঁর ব্যক্তিগত অফিসে কেউ কাঙ্ক্ষিত কাজ না করা সত্ত্বেও তাঁকে সরান না, সেখানে বিরাটের অভিযোগ ভিত্তিহীন। দুধ আর জল আলাদা হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।
তবে বিরাটের বক্তব্যে চটেছেন অনেকেই। কেউ মনে করাচ্ছেন, অনিল কুম্বলের সঙ্গে বিরাট কোহলির অভব্যতা আর অসৌজন্যের উদাহরণ। ইট মারায় পাটকেলটি যে খেতেও হবে বিরাটকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর বিরাটকে টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিসিসিআই সূত্রে খবর, বিরাটকে বোর্ডের তরফে যা যা বলা হয়েছিল তার সব কল রেকর্ডস বা ভিডিও কনফারেন্সের ফুটেজ রয়েছে।
সেটা সামনে এলে আরও অস্বস্তিতে পড়বেন বিরাট। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরাট কোহলির সম্পর্ক এমন তলানিতে পৌঁছেছে গতকালের সাংবাদিক বৈঠকের আগে তা বোঝাই যায়নি।এখন দেখার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতের টেস্ট দল বিরাট কোহলির নেতৃত্বে কেমন পারফর্ম করে। সিরিজ জিতে বিরাট কোহলি নিজেই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে সকলের। কারণ বোর্ডের সঙ্গে বিরাট দ্বৈরথ এখন খুললাম খুল্লা।