২৯ বছরের রেকর্ড ভাঙা গেল না। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি থেকে টেস্ট সিরিজ জিততে পারল না ভারত। বিরাট কোহলি শেষ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান করতে না পারলেও, দীর্ঘক্ষন উইকেটে পড়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের টানা ব্যর্থতা ভারতকে ইতিহাস সৃষ্টি করতে দিল না। কেপ টাউনে ম্যাচের পর বিরাট জানালেন সিরিজে লড়াই হয়েছে। ভারতীয় দল ভাল শুরু করেছিল। সেঞ্চুরিয়ান টেস্টে দাপটের সঙ্গে জয় মনে হয়েছিল এবার খালি হাতে ফিরতে হবে না।
advertisement
বিরাট মনে করেন অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে অতীতে ভারতীয় দল সিরিজ জয় করেছে বলেই এই দলকে নিয়ে আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আশা তৈরি হওয়া আর ট্রফি জেতা এক জিনিস নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ঘরের মাঠে দুর্বল একথা মানেন না তিনি। বিরাট মনে করেন ভারতীয় ফাস্ট বোলাররা দুর্দান্ত বল করেছেন। শামি, বুমরাহ, শার্দুল ঠাকুর নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা, কোন জায়গায় কি ধরনের ইনিংস খেলা প্রয়োজন, সেটা বুঝতে না পারা, একটা আধঘন্টা বা ৪৫ মিনিটের খারাপ ক্রিকেট তাদের সিরিজ হারিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল।
তবু কে এল রাহুল এবং আগারওয়ালের প্রশংসা করলেন। পাশাপাশি ভারত অধিনায়ক মনে করেন ভারত নিজেদের চেনা ব্র্যান্ডের লড়াকু ক্রিকেট খেলতে পারেনি। অধিনায়ক হিসেবে ব্যর্থতার দায় নিচ্ছেন। যাবে এই জায়গা থেকে ভারতীয় দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে এবং ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারে মনে করেন তিনি। সুন্দর ট্রফিটা নিয়ে যখন সেলিব্রেশনে মেতেছে প্রোটিয়া দল, দূরে দাঁড়িয়ে সেদিকে দেখছিলেন বিরাট।
ট্রফির একদিকে মহাত্মা গান্ধীর ছবি, অন্যদিকে নেলসন ম্যান্ডেলার। ভারতের ব্যর্থতায় গান্ধীর দেশে সিরিজ এল না। এলগার, বাভুমা, রাবাডা এবং ম্যাচের সেরা পিটারসেনের দক্ষিণ আফ্রিকাই শেষ হাসি হাসল। হতাশা ছাড়া ভারতের প্রাপ্তি আর কি হতে পারে?
সেঞ্চুরিয়ানে প্রথম টেস্ট জয়। রাহুল, পন্থদের সেঞ্চুরি হয়তো কিছুটা আঘাতে মলম লাগানোর মত। এর বাইরে সাফল্যের হাইওয়ে নয়, ব্যর্থতার কানাগলিতেই রয়ে গেল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এলগার জানালেন বেশকিছু সিনিয়র ক্রিকেটার না থাকা সত্ত্বেও এবং প্রথম টেস্ট হেরে যাওয়া সত্ত্বেও তারা বিশ্বাস ছাড়েননি। অনেকেই সিরিজ শুরু হওয়ার আগে ভারতের পক্ষে ৩-০ জয় লিখে দিয়েছিলেন। সেটা ভুল প্রমাণ করতে পেরে গর্বিত দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক।