শেষ মুহূর্তের লড়াইয়ে অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়ে অনূর্ধ্ব ১৩ বছর – ৬৫ কেজি ক্যারাটে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় হয়ে রুপোর পদক ছিনিয়ে আনে সে।
ঋদ্ধিমানের এই সাফল্যে পরিবার, কোচ ও এলাকার মানুষের মধ্যে আনন্দের হাওয়া। ভবিষ্যতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আরও বড়ো মঞ্চে সাফল্য আনবে—এমনই প্রত্যাশা ঋদ্ধিমানের কোচ আর্যস্মান সরকারের। বাঁকুড়ার এই ছেলে আবারও প্রমাণ করল স্বপ্ন বড় হলে, জয়ের পথ নিজেই খুলে যায়।ইস্ট ইন্ডিয়া ক্যারাটে সিলেকশন, ওয়েট ক্যাটাগরি মাইনাস ৬৫, অনূর্ধ্ব ১৩ বিভাগে রুপোর পদক জিতেছিল বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত এলাকার ছেলে। এখন জাতীয় স্তরে লড়াই করার পর দিল্লির বুক থেকে ছিনিয়ে আনল রূপো।
advertisement
ঋদ্ধিমানের প্রশিক্ষক সেনসেই আর্যস্মান সরকার বলেন, এই সাফল্য এক বড় সাফল্য। গোটা বাঁকুড়ার ক্যারাটের জন্য এক প্রাপ্তি।
বাঁকুড়ার ছেলে দ্বিতীয়? ছাতনা চন্ডীদাস বিদ্যাপীঠের ছাত্র ঋদ্ধিমান চ্যাটার্জী এবার দিল্লির জাতীয় স্তরে মাঠ কাঁপিয়ে বাড়ি ফেরত। এই মাঠ কাঁপানোর গল্প শুরু হয়েছিল ছাতনাতেই একটি ক্যারাটে একাডেমির হাত ধরে। ঋদ্ধিমানের বাবা অনিমেষ চ্যাটার্জী বলেন, ছেলেকে ছয় বছর আগে ক্যারাটেতে ভর্তি করার মূল উদ্দেশ্য ছিল আত্মরক্ষা এবং শরীর চর্চা। তবে ধীরে ধীরে আর্য স্যারের হাত ধরে ঋদ্ধিমান এগিয়ে চলে ক্যারাটে নিয়ে। ছোটখাটো সাফল্যের পাশাপাশি এই সাফল্য যেন তাকে দিশা দেখাচ্ছে ভবিষ্যতের।
বাঁকুড়া একটি প্রান্তিক জেলা, ছাতনা সেই জেলার একটি সমষ্টি। বাঁকুড়াতে ইতিমধ্যেই উঠেছে শরীরচর্চা হিড়িক। এবার শুধুমাত্র বাঁকুড়ার শহর কিংবা শহর সংলগ্ন এলাকায় নয়, বিভিন্ন গ্রামিন এবং গ্রাম্য মফস্বল এলাকাতেও ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা শিখছে ক্যারাটে এবং তারা শরীরচর্চা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। রুপোর পদক জেতা ঋদ্ধিমান তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
Nilanjan Banerjee





