উৎসুক জনতা তখন তাঁদের একবার দেখার জন্য ঠেলাঠেলি করছে। অথচ তাঁরা নেপালে সাফ খেলতে যাচ্ছেন, একটা সময় সেই খবরও বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষ জানতেন না। সাবিনারা বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন একশো বছর। এই বাংলাদেশে আর মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে প্রশ্ন করার সাহস হয়তো কেউ দেখাবে না!
আরও পড়ুন- চাকদা এক্সপ্রেস সিনেমার জন্য অনুষ্কা পরামর্শই নেননি বিরাটের! কারণ খোলসা করলেন কোহলি
advertisement
সাফের শিরোপা দেশবাসীকে উৎসর্গ করে দলের অধিনায়িকা সাবিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় সাফল্য পেয়েছি। আমাদের লক্ষ্য আরও উন্নতি করার। আরও এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের পাশে থাকা সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ১৬ কোটি বলুন, ১৮ কোটি কিংবা ২০ কোটি—এই ট্রফি দেশের প্রতিটা মানুষকে উৎসর্গ করলাম।’
নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল দল। এদিন মহিলা ফুটবলারদের ছাদ খোলা বাসে ঘোরানো হয়। বাংলাদেশ ফুটবল সংস্থার অফিসেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মহিলা ফুটবল দলের জন্য ৫০ লাখ টাকার আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন- কোন শট-এর কী নাম জানতেন না! তবুও ক্রিকেটে কমেন্ট্রি করতেন রাজু শ্রীবাস্তব
গোটা বাংলাদেশকে যেন এক সূতোয় বেঁধে ফেলেছেন সাবিনারা। তবে এদিন অনুষ্ঠানের তাল কাটে একটি ঘটনার জেরে। দলের এক ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা ছাদ খোলা বাসে ঘোরার সময় চোট পান। রাস্তায় ঝুলতে থাকা একটি ব্যানারের সঙ্গে ধাক্কা তাঁর। মাথায় ক্ষত স্থানে চারটি সেলাই পডে তাঁর। তবে তাতে তাঁর আনন্দ, উৎসাহে ভাঁটা পড়েনি। ব্যান্ডেজ মাথায় নিয়েই পৌঁছে যান বাংলাদেশ ফুটবল সংস্থার অফিসে।