কিন্তু এবার গ্রুপ পর্বে লড়াই অনেক বেশি কঠিন। গতবার এএফসি কাপের ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমি-ফাইনালে উঠলেও শেষরক্ষা হয়নি। এবার সেই গণ্ডি পেরনোর লক্ষ্য নিয়ে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে অভিযান শুরু করছে এটিকে মোহন বাগান। প্লে-অফ সেমি-ফাইনাল খেলতে হলে বোমাসদের গ্রুপ সেরা হতেই হবে। ১৮ মে সল্টলেক স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের খেলা শুরু।
advertisement
গত বারের মতো এবারও সবুজ-মেরুন ব্রিগেড সহজ গ্রুপে। তবুও প্রতিপক্ষ দলগুলিকে হাল্কাভাবে দেখতে নারাজ রয় কৃষ্ণরা। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে সাফল্য পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হুয়ান ফেরান্দোর দল। শুক্রবার হুগো বুমু বলেন, এই গ্রুপে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আমরাই সেরা দল। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এক নম্বরেই থাকব। প্রস্তুতি যথেষ্ট ভাল হয়েছে।
প্রাথমিক পর্বের দু’টি ম্যাচে আট গোল করেছি। ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে কোনও অজুহাতই ধোপে টিকবে না। এটিকে মোহনবাগানের ফরাসি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার প্রতিপক্ষ তিনটি দলেরই ভিডিও দেখেছেন। তাঁর কথায়, গ্রুপে সবচেয়ে শক্তিশালী বসুন্ধরা কিংস। যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে এই দলে। তারপরেই গোকুলাম এফসি’র কথা বলতে হয়।
আই লিগে এবার দারুণ খেলছে ওরা। তবে তিন দলকেই হারাতেই পারি আমরা। দলের শক্তি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মিডফিল্ডার কাউকো। তাঁর কথায়, আমরা খেলার মধ্যেই রয়েছি। প্রাথমিক পর্বে দু’টি জয় পেয়েছি। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতীয় দলকে হারানোর পর দল ছন্দে রয়েছে। কোচ আমাকে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার পজিশনে ব্যবহার করছেন।
এই জায়গায় খেলেও গোল পাচ্ছি। তবে শুধু এই দুজন নয়। ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণ, তিরি এবং কার্ল ম্যাক হিউ তৈরি এএফসি কাপে নিজেদের সেরাটা দিতে। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস দলটিতে ব্রাজিলিয়ান এবং জাম্বিয়ান ফুটবলার উঁচু মানের। কোচ অস্কার ভারতে কোচিং করে গিয়েছেন।
ফলে ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে তিনি নতুন নন। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষকে যেমন শ্রদ্ধা করছে এটিকে মোহনবাগান, তেমনই আই লিগ চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম এবং মালদ্বীপের মজিয়া সম্পর্কেও হোমওয়ার্ক করে রেখেছেন স্প্যানিশ কোচ। পাসের ফুলঝুরিতেই বিপক্ষকে নাকাল করার ভাবনায় সবুজ মেরুন।