ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম হলুদ কার্ড দেখার পর ওর বাড়তি সতর্ক থাকা উচিত ছিল। তবে ফুটবলে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটে। মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা রক্ষণ। গত মরশুমে সবুজ-মেরুন রক্ষণ দারুণ খেলেছিল। কিন্তু চলতি মরশুমে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই গোল হজম করছেন তিরি-প্রীতমরা। ১৭টি ম্যাচে ২৫টি গোল হজম করেছে কলকাতার দলটি। সন্দেশ আসার পরেও রক্ষণে ‘শ্রী’ ফেরেনি। রবিবারের ম্যাচের আগে যা অবশ্যই ভাবাচ্ছে কোচ ফেরান্দোকে।
advertisement
কারণ, বিএফসি’র স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভা গোলের মধ্যে আছেন। প্রথম পর্বে অফ ফর্মে ছিলেন সুনীল ছেত্রী। তিনিও ফিরেছেন গোলের মধ্যে। তাই রবিবার মোহন বাগান রক্ষণের কঠিন পরীক্ষা। বাগিচা শহরের দলটিকে হারাতে পারলে অবশ্য প্লে-অফে যাওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবেন ডেভিড উইলিয়ামসরা। বিএফসি ছাড়া মোহনবাগানের বাকি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী যথাক্রমে চেন্নাইয়ান এফসি (৩ মার্চ) ও জামশেদপুর এফসি (৭ মার্চ)।
আইএসএলে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে এটিকে মোহন বাগান। হাতে রয়েছে আরও তিনটি ম্যাচ। পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ১৩টি ম্যাচে অপরাজিত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। নক-আউটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল তাদের। তা সত্ত্বেও মন ভালো নেই কোচ হুয়ান ফেরান্দোর। পরপর দু’টি ম্যাচ ড্র হওয়ায় তিনি হতাশ। বৃহস্পতিবার রাতে লিগ টেবিলে সাত নম্বরে থাকা ওড়িশা এফসি’র বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট করার পর তিনি বলেছেন, প্রতিটি দলের বিরুদ্ধে একজন কোচের ভিন্ন স্ট্র্যাটেজি থাকে।
দু’টি ম্যাচের মাঝে ব্যবধান বেশি থাকলে এই ব্যাপারে সুবিধা হয়। রবিবার বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ। শুক্রবার ছিল রিহ্যাব। যার অর্থ, মাত্র একদিনের প্রস্তুতিতে আমাদের খেলতে হবে বিএফসির বিরুদ্ধে। কিন্তু প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করতে হলে দুটো ম্যাচ জয় প্রয়োজন সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। তাই পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক, জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে নারাজ হুয়ান ফেরান্ডো।