মাঝে কিছুটা গাছাড়া মনোভাব দেখালেও ডার্বি জয়ের পর তা নিয়ে আর রুষ্ট নন হাবাস। তিনি বলেন, ম্যাচের আগে ফুটবলারদের বলেছিলাম ভাল করে খেলাটা গোছানোর কথা। তার পরে ব্যক্তিগত দক্ষতার কথা। সকলেই খুব ভাল খেলেছেন। শৃঙ্খলা বজায় রেখে সফল প্রয়াস, সবদিক থেকেই মন জয় করার মতো খেলেছেন, ফলে আমি খুশি।
advertisement
হাবাসের কথায়, আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলারই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। ৪০ মিনিট পর্যন্ত সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার পরে একটু গা ছাড়া মনোভাব এসেছিল। ফলে এসসি ইস্টবেঙ্গলেরও গোলের সুযোগ আসে। আমরাও আরও গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলাম। তবে ছেলেদের কিছু বলব না এই ম্যাচের পর। তাঁদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট তো ভালোই, গোলপার্থক্যও যথেষ্ট ভাল রয়েছে আমাদের যা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ডিফেন্সে তিনজন রেখে শুরু করেছিলেন লাল হলুদ কোচ দিয়াজ। এটাই কি বিপক্ষের আক্রমণের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়? এই প্রশ্নের উত্তরে হাবাসের জবাব, শৃঙ্খলা ও মানসিকতার দিক থেকে আমাদের ছেলেরা কমপ্লিট পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। আমাদের পরিকল্পনা ছিল গোল দেব, কিন্তু খাব না ( not conceding goal important for Habas)। এবার প্রথম ম্যাচে আমাদের দুই গোল হজম করতে হয়েছিল, যা ভাল নয়।
এটিকে মোহনবাবাগানের পরের ম্যাচ গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে। মুম্বইকে গতকালই পিছিয়ে পড়েও ৩-১ গোলে হারিয়েছে হায়দরাবাদ এফসি। হাবাস বলেন, ফুটবলাররা রিকভার করার পর আমরা এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের বিশ্লেষণ করে যাবতীয় ভুলগুলি চিহ্নিত করব। পরে বিপক্ষকে নিয়ে ভাবব। তিনি আগেও বলেছিলেন ডার্বি জয় অবশ্যই লক্ষ্য।
কিন্তু এই ম্যাচ জিততে পারলে তিনের জায়গায় ছয় পয়েন্ট পাওয়া যাবে না। তাই আবেগ নয়, বাস্তবের মাটিতে পা রেখে চলতে চান তিনি। আপাতত লক্ষ্য ফুটবলারদের ডার্বি জয়ের হ্যাংওভার থেকে বের করা। দীর্ঘ লিগ বাকি আছে। চোট, আঘাত, কার্ড সমস্যা আসবে। তারপর ডিফেন্ডার তিরিকে ফিট করে তোলা লক্ষ্য হাবাসের।