ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রোহিত শর্মা বলেন,টেস্ট ফরম্যাট অত্যন্ত “চ্যালেঞ্জিং ও ক্লান্তিকর”, তবে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই ফরম্যাটে নিজেকে সফলভাবে টিকিয়ে রেখেছেন কঠোর প্রস্তুতির মাধ্যমে। টেস্ট ম্যাচের মানসিক চাপ ও দৈহিক ক্লান্তি সামলাতে সঠিক প্রস্তুতির গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সরাসরি না বললেও রোহিত বুঝিয়ে দেন, শরীর আর টেস্ট খেলার ধকল নিতে পারবে না তা তিনি বুঝে গিয়েছিলেন।
advertisement
রোহিত ৬৭টি টেস্টে ৪০.৫৮ গড়ে রান করেছেন এবং ২০২৫ সালের মে মাসে তিনি লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তার মতে,”পাঁচ দিনব্যাপী ম্যাচে টিকে থাকতে হলে খেলোয়াড়দের দীর্ঘ সময় ধরে মানসিকভাবে দৃঢ় থাকতে হয়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও ক্লাব পর্যায়ের বহু দিনের ম্যাচ খেলেই ভারতীয় খেলোয়াড়রা এমন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে শিখে যান।”
তরুণ খেলোয়াড়দের প্রস্তুতির গুরুত্ব বোঝার অভাব নিয়েও কথা বলেন রোহিত। তিনি বলেন,”শুরুতে খেলাটা শুধুই আনন্দ ও উপভোগের বিষয় ছিল। তবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট ও সিনিয়রদের সংস্পর্শে এসে ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে পারেন, উচ্চমানের পারফরম্যান্সের জন্য প্রস্তুতি অপরিহার্য। এই প্রস্তুতিই একজন খেলোয়াড়ের মাঝে শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে।”
টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বজায় রাখতে মানসিক সতেজতার গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে মনোযোগ ধরে রাখা এবং প্রতিটি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিতে পারাই একজন সফল টেস্ট খেলোয়াড়ের বৈশিষ্ট্য। এ ধরনের মানসিক দৃঢ়তা গড়ে ওঠে মাঠে নামার আগেই—প্রস্তুতির সময় থেকেই।
রোহিত বলেন,”ম্যাচ চলাকালে খেলোয়াড়দের প্রতিটি সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে। তাই ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে যথাযথ প্রস্তুতি না থাকলে চাপে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।” তিনি বিশ্বাস করেন, প্রস্তুতির মাধ্যমে খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাস অর্জন করেন, যা ম্যাচের সময় কাজে লাগে।
আরও পড়ুনঃ ম্যাচের আগেই ভারত অধিনায়ককে কটাক্ষ পাক তারকার! আরও বাড়ল ভারত-পাক ম্যাচের উত্তাপ
শেষ পর্যন্ত রোহিত শর্মা বলেন,ঠকেবল ক্রিকেট নয়, জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি হলো প্রস্তুতি। কঠোর পরিশ্রম, মানসিক প্রস্তুতি এবং আত্মনিবেদন—এই তিনটি গুণই একজন খেলোয়াড়কে টেস্টের মত কঠিন ফরম্যাটে সফল করে তোলে।”