গতবার মরুদেশে ভারত-পাকিস্তানের মত হেভিওয়েট দলকে হরিয়ে চমক দিয়েছিল লঙ্কান লায়ন্সরা। এশিয়া সেরে হয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে জানান দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা এখনও বড় প্রতিযোগিতা জেতার ক্ষমতা রাখে। সম্প্রতি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচেও অনবদ্য পারফর্ম করে টিকিট পাকা করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। এবার ঘরের মাঠের অ্যাডভান্টেজ নিয়ে এশিয়া কাপে আরও একবার নিজেদের সেরাটা দেওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী দাসুন শানাকা, চারিথ আসালঙ্কা, দিমুথ করুণারত্নেরা।
advertisement
অপরদিকে, বাংলাদেশ দলের প্রধান সমস্যা চোট-আঘাত। প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই তামিম ইকবাল, এবাদত হোসেন, লিটন দাসের মত তারকা ক্রিকেটাররা চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছে। যা কিছুটা হলেও চিন্তা বাড়িয়েছে শাকিব আল হাসানের। তারপরও যে দল রয়েছে তাদের নিয়েই লড়াই দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী শাকিব। এই সিরিজে বাংলাদেশের কিছু তরুণ ক্রিকেটারদের উপর নজর থাকবে সকলের। এশিয়া সেরা হওয়ার অধরা স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে শাকিব,রহিম, মুস্তাফিজুর, তাসকিনরা।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল সাম্প্রতিক সময়ে খুব ভাল ক্রিকেট খেলেছে। তার মধ্যে ঘরের মাঠে তারা এবার খেলবে। ফলে একটা বাড়তি সুবিধা তো থাকছেই। অপরদিকে, বাংলাদেশ দলে চোট সমস্যা থাকলেও একাধিক প্লেয়ার রয়েছে যারা একার দৌলতে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচ হবে পাল্লেকেলে। ফলে এই মাঠের স্পিনিং ট্র্যাকের সুবিধা পাবে দুই দলই। ফলে কোন দল এগিয়ে তা বলাটা খুব মুশকিল। তবে টস গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।