খেলা ছাড়ার পর গত বিধানসভায় ময়না থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন দিন্দা। তবে রাজনীতির কাজ সামলে ক্রিকেট মাঠেই ফিরতে চান তিনি। সিএবি কর্তারাও আলোচনা করে দেখছেন অশোক দিন্দাকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়। সাদা বলের ক্রিকেটে দেশের হয়ে খেলার পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪০০-র বেশি উইকেট নিয়ে বাংলা সর্বকালের সেরা বোলারদের তালিকায় অন্যতম অশোক দিন্দা। তবে প্রাথমিকভাবে অশোক দিন্দাকে কোচিংয়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে ঐক্যমত ছিলেন না সিএবি কর্তারা।
advertisement
আরও পড়ুন : জিমন্যাস্টিকের ফাইনালে বাংলার প্রণতি! সোমবার নামছেন সোনা জয়ের লড়াইয়ে
সূত্রের খবর, প্রথমত তিনি রাজনীতিতে যুক্ত, তাই কতটা সময় দিতে পারবেন সেটা নিয়ে ভিন্নমত ছিল। দ্বিতীয়ত বরাবরই ঠোঁটকাটা, বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা অশোক দিন্দাকে কোচিংয়ে আনা হলে ফের সমস্যা হতে পারে বলে সকলে রাজি ছিলেন না। তবে সেই মতামত আস্তে আস্তে পরিবর্তন হচ্ছে বলেই খবর। সূত্রের খবর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ মেনে অশোক দিন্দাকে কাজে লাগাতে চাইছেন কর্তারা। তবে সরাসরি বাংলা সিনিয়র দলের সঙ্গে নয়, ভবিষ্যতের ট্যালেন্ট তুলে আনার কাজে প্রাক্তন ভারতীয় তারকাকে কাজে লাগাতে হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে ভিশন টোয়েন্টি-টোয়েন্টির বোলিং কোচ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন : চাকদহে আসবেন অনুষ্কা শর্মা! 'ঝুলন' হওয়ার চেষ্টায় দিন-রাত এক করছেন মিসেস কোহলি
সিনিয়র কিংবা বয়স ভিত্তিক কোন দলের সঙ্গে ট্রাভেল করবেন না তিনি। ব্যাটিং পরামর্শদাতা ডাব্লুভি রমনের মত বছরে ৫০ দিন কাজ করবেন অশোক দিন্দা। জেলা থেকে ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে তুলে আনা ফাস্ট বোলারদের প্রশিক্ষণ দেবেন দিন্দা। অশোক দিন্দাকে ভিশনের কোচ করা হলেও শিবশংকর পাল যে দায়িত্বে রয়েছেন সেই দায়িত্বেই তিনি থাকবেন। তবে এ বার সিনিয়র দলের সঙ্গে বাইরে যাবেন তিনি। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লাও ম্যাকোকে সিনিয়র দলের বেশি করে কাজে লাগাতে চান। সব মিলিয়ে দিন কয়েকের মধ্যে সব চূড়ান্ত করা হবে বলে সিএবি সূত্রে খবর।