বছর ২০-র অর্পিতা এখন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা টিমের অন্যতম সদস্যা। ২০২০-‘২১ জঙ্গলমহল কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পুরস্কার স্বরূপ চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অর্পিতার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্পিতার প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। দরীদ্র পরিবারের ‘লড়াকু’ কন্যা অর্পিতা চাকরি পেয়ে আপ্লুত। ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
শুধু তাই নয়, মেদিনীপুর পুরসভার তরফে অর্পিতাকে সংবর্ধিত করা হয়। সেই সঙ্গেই জাতীয় স্তরের একটি প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য অর্পিতার উত্তরপ্রদেশের যাওয়ার খরচ স্বরূপ কিছু অর্থও তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘অর্পিতা আমাদের শহর তথা জেলার গর্ব। সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালীন বাবাকে হারিয়েও দমে যায়নি সে। বাড়িতে মা আর অসুস্থ দাদা আছেন। পড়াশোনা আর খেলাধুলার সঙ্গে সংসার সামলাতে হয় ওকে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ওর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ায় আমরা খুব খুশি। আমরাও ওর পাশে আছি।’
advertisement
অর্পিতা এখন মেদিনীপুর সিটি কলেজের তৃতীয় বর্ষের বাংলার বিভাগের ছাত্রী। জেলার চ্যাম্পিয়ন টিমের বেশিরভাগ সদস্যাদের হাতে আগেই সিভিক পুলিশে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। তবে, অর্পিতার বয়স তখন ১৮ না হওয়ায় চাকরি পাননি। অবশেষে নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে আপ্লুত তিনি। অর্পিতা বলেন, ‘এবার আরও মন দিয়ে খেলতে পারব। আর পড়াশোনাটাও চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। অর্পিতার দাদা বিশেষভাবে সক্ষম। তাই মায়ের সঙ্গে সঙ্গে দাদার খেয়ালও রাখতে হয়। তারপর পড়াশোনা ও খেলাধুলা। তবে একদিকে সংসারে পরিশ্রম, অন্যদিকে খেলায় জোর, দুয়ে মিলে জঙ্গলমহলের অন্যতম রত্ন অর্পিতা।





