বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে সেকেন্ড লাস্ট হার্ডলস টপকাতে নামতে চলেছে আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ লাল-সাদা ক্রোয়েশিয়া। ইতিহাস বলছে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে উঠলে কোনও দিন হারেনি নীল-সাদা বাহিনী। তবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর আগে একাধিক বাধা রয়েছে স্কালোনির সামনে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মারামারির ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখে সেমির লড়াইতে নেই জোড়া ডিফেন্ডার মার্কাস আকুনা ও গঞ্জালো মন্তিয়েল। এই দুই ডিফেন্ডারের বিকল্প খুঁজতে নাজেহাল অবস্থা স্কালোনির।
advertisement
ডাচদের বিরুদ্ধে নিজের ছক ভেঙে ৫ ডিফেন্ডারে দল সাজিয়েছিলেন স্কালোনি। আকুনা রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ তৈরির দায়িত্বে ছিলেন। মন্তিয়েলের কাজটাও একই ছিল। তবে ক্রোটদের বিরুদ্ধে ৪-৩-৩ ছকে নামতে পারেন স্কালোনি। আকুনা না থাকায় দলে আসবেন তাগলিয়াফিকো। শুরু থেকে নামতে পারেন দি মারিয়া। স্কালোনির চিন্তা আরও একটা রয়েছে। নক আউটের শেষ দুই ম্যাচে গোল হজম করেছে লা অ্যালবিসিলেস্তেরা। শেষ- মুহুর্তে গোল হজমের রোগ সারাতে অনুশীলনে বাড়তি ঘাম ঝড়াচ্ছেন স্কালোনি। ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের ভিডিও দেখে প্রস্তুতি সারা হয়েছে। শিবিরের খবর যাতে না বেরিয়ে যায় তাই ক্লোজড ডোর অনুশীলন করেছে আর্জেন্টিনা শিবির।
আরও পড়ুন - এলএম 10 vs এলএম 10! লিও মেসি বনাম লুকা মদ্রিচ সেমিফাইনালে কে হবেন রিয়েল এলএম 10
কোয়ার্টারে নেদারল্যান্ডসের লং বল ফুটবল নিয়ে মেসিরা সমালোচনা করেছিলেন। তবে ক্রোয়েশিয়া-ও সেই লং বল ফুটবল খেলতে অভ্যস্থ। ক্রোটরা স্ট্রাইকারদের উচ্চতা কাজে লাগিয়ে গোলের চেষ্টা করবে। তাই স্কালোনির চিন্তা থাকছে। কারণ, আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডারদের উচ্চতা কম। তবে সব থেকে বড় চিন্তার নাম বিপক্ষের এলএমটেন। লুকা মদ্রিচ ক্রোটদের ফুসফুস। তাঁর গোলমুখী পাস গুলি আটকাতে আলাদা প্ল্যান কষছেন আর্জেন্টাইন হেডস্যার।
আরও পড়ুন - মেসির মুখে এ কী ভাষা! লাইভ সাক্ষাৎকারের সময় ডাচ প্লেয়ারকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য কথা,রইল ভিডিও
তবে সব সমস্যার পরেও স্বস্তি একটাই। ত্রাতা-ভরসা মেসির দুরন্ত ফর্ম। চলতি বিশ্বকাপে সেরা ফর্মে রয়েছেন নীল-সাদাদের মাসিহা। মার্কারদের কাঁধে নিয়েও বিপক্ষ ডিফেন্সে একচুল জায়গা দেখতে পেলেই নিঁখুত পাস করছেন। যা থেকে গোল না করাটাই অপরাধ। স্কালোনি জানেন, মেসিকে আটকানোর জন্য দালিচ পরিকল্পনা রাখবেন। তবে ৯০ মিনিট মেসিকে বোতলবন্দী করাটা কার্যত অসম্ভব। মেসি মার্কিং ভাঙতে জানেন।
মেসি ছাড়াও আর্জেন্টিনাকে স্বস্তি দিচ্ছে ডি পল আর মার্টিনেজ। ডাচদের বিরুদ্ধে দাপিয়ে খেলেছেন মেসির বডিগার্ড পল। ডাচদের বিরুদ্ধে জোড়া টাইব্রেকার বাঁচিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছেন মার্টিনেজও। ৩৬ বছর আগে ১৯৮৬ সালে শেষবার প্রয়াত মারাদোনার হাত ধরে বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তারপর কেটে গেছে ৩৬টা বছর। সোনালি ট্রফিটা আর ঘরে আসেনি নীল-সাদা ব্রিগেডের। মাঝে ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠলেও ট্রফি ও ঠোঁটের মধ্যে দুরত্বটা থেকেই গিয়েছে। এবার ২০২২-এ সেই সোনালি স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় আর্জেন্টিনা দেশ সহ বিশ্ব জুড়ে নীল-সাদা ভক্তরা। মেসির হাত ধরেই ফের একবার আর্জেন্টিনা বিশ্বজয় করবে। আশায় বুক বাঁধছে গোটা আর্জেন্টিনা আর বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মেসি ভক্তরা।
ERON ROY BURMAN