তিনি জানান যে তিনি খুব কষ্ট পেয়েছেন।তিনি বলেন যে দিনের প্রথম ভাগে রাশিয়া তাদের ওপর সর্বাত্মক হামলা চালিয়েছে।দেশের মানুষ ও তাদের পরিবার আক্রমণের শিকার হয়েছে।ইউক্রেনের মানুষ শান্তি ও সার্বভৌমত্ব চায়।অন্যান্য রাষ্ট্রের কাছে শেভচেঙ্কো আহ্বান জানিয়েছেন, যেন রাশিয়াকে বুঝিয়ে তাদের এই আগ্রাসন বন্ধে রাজি করানো হোক।তিনি অনুরোধ করেছেন বিশ্বের সকল নাগরিককে তার দেশকে সাহায্য করার জন্য।
advertisement
সামরিক আগ্রাসন ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বন্ধ করতে রাশিয়ার সরকারকে আহ্বান জানাতে বলেছেন তিনি।কারণ তিনি মনে করেন এই বিশ্বের মানুষ শুধু শান্তি চাই। যুদ্ধ কোনো সমাধান হতে পারে না,মত তার।ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার ওলেক্সান্ডার জিনচেঙ্কো এবং প্রাক্তন এসি মিলান স্ট্রাইকার অ্যান্ড্রি শেভচেঙ্কো হলেন ইউক্রেনের বিশিষ্ট ক্রীড়া তারকাদের মধ্যে অন্যতম।দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ার সাথে সাথেই তারা তাদের দেশের মধ্যে সংহতির আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সব দিক থেকে সামরিক কনভয় ইউক্রেনের মাটিতে প্রবেশ করে রাশিয়া তার পূর্ব ইউরোপীয় প্রতিবেশীর উপর বড় আকারের আক্রমণ শুরু করেছে।দেশ জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে এখনো।ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক ফুটবলার এবং ম্যানচেস্টার সিটি তারকা জিনচেনকো,ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি বার্তায় বলেছেন সভ্য বিশ্ব তাদের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত। জিনচেনকো পুতিনের জঘন্যতম মৃত্যু কামনা করলেন। সেই পোস্ট মুছল ইনস্টাগ্রাম।
তিনি দেশের থেকে দূরে থাকতে পারছেন না।এরই সাথে তিনি লিখেছেন যে দেশে তিনি জন্মেছেন, বড়ো হয়েছেন সেই মাতৃভূমিকে তিনি ভুলতে পারবেন না।একই অনুভূতিগুলি প্রাক্তন মিলান এবং চেলসি ফরোয়ার্ড শেভচেঙ্কো দ্বারাও প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
সদ্যসমাপ্ত ইউরো কাপে শেভচেঙ্কো জাতীয় দলের সহকারী কোচ ছিলেন।২০০৪ সালের ব্যালন ডি'অর বিজয়ী এই খেলোয়াড় সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন ইউক্রেন তার মাতৃভূমি।আমি সবসময় আমার জনগণ এবং তিনি তার দেশকে নিয়ে গর্বিত।