অতি সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আহম্মাদ। সংসারে বৃদ্ধ বাবা-মা, দাদা-বোনের ভরণপোষণের দায়িত্ব তার কাঁধে। বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও কোনও দিন হেরে না গিয়ে ইটভাটায় কাজ করা, মাছ ধরা কিংবা ছোটখাটো কাজ করে কোনওক্রমে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৫ সালে এক মর্মান্তিক ট্রাক দুর্ঘটনায় পা হারান আহম্মাদ। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ভ্যান চালানো, সাইকেল চালানোর পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। মন থেকে ভাঙেননি কখনও।
advertisement
সাঁতার শেখা, শরীরকে ফিট রাখা এবং ফেন্সিংয়ের মতো কঠিন খেলায় দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে আহম্মাদ গাজীর নেতৃত্বে কেরালায় আয়োজিত ১২তম ন্যাশনাল ড্রাগন বোট চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার প্যারা ড্রাগন বোট রেসে বাংলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। চেন্নাইয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। বাংলার নাম দেশের মঞ্চে উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন সুন্দরবনের এই লড়াকু সন্তান।
জুলফিকার মোল্যা