পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আতিথেয়তায় খুশি অজিরা। অধিনায়ক কামিন্স বলেছেন, বিমানে আসার সময় আমরা প্রার্থনা করছিলাম সব যেন ঠিক থাকে। নিরাপত্তা এবং হোটেল কর্মীরা সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করছেন। পিসিবি দুর্দান্ত আয়োজন করেছে। হোটেলে থাকার এবং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা দারুণ। দলের সকলেই নিশ্চিন্ত বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
advertisement
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের চার পাশে হয়তো এমন অনেক কিছু থাকবে, যেগুলোয় আমরা অভ্যস্ত নই। জানি আমাদের সুরক্ষার জন্যই সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সফরটা উপভোগ করতে চাই। পাকিস্তান দুর্দান্ত ক্রিকেট দল। আমরা ভাগ্যবান এখানে খেলতে আসতে পেরে। ইসলামাবাদে অস্ট্রেলিয়ার টিম হোটেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়েছে চার হাজার পুলিশ কর্মী ও সেনা জওয়ানকে।
কামিন্সরা যখন বাসে করে অনুশীলনে বা ম্যাচ খেলতে যাবেন, সে সময় সংশ্লিষ্ট রাস্তার ১৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত সমস্ত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গোটা যাত্রা পথে নজরদারি চালাবে সেনা হেলিকপ্টার। রাওয়ালপিণ্ডির স্টেডিয়ামকেও পরিণত করা হয়েছে দুর্গে। স্টেডিয়ামের কাছাকাছি বহুতলগুলিতে মোতায়ন থাকবে স্নাইপার। খেলার দিন স্টেডিয়ামের কাছাকাছি সমস্ত দোকান এবং অফিস বন্ধ রাখতে হবে।
করাচি এবং লাহৌরেও একই রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপেক্ষা করছে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের জন্য। পাকিস্তানে পৌঁছনোর পর ২৪ ঘণ্টা বিচ্ছিন্নবাসে থাকতে হবে অজি ক্রিকেটারদের। তার পর সকলের করোনা পরীক্ষা হবে। সব ঠিক থাকলে অনুশীলন শুরু করতে পারবেন কামিন্সরা। উল্লেখ্য ৪ মার্চ থেকে শুরু হবে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট ম্যাচ। পাক সেনা ছাড়াও প্রয়োজনে স্পেশাল ফোর্স এসএসজি - কেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।