যে গতিতে লাল বল একজন ফিল্ডারের কাছে আসে, তার থেকে দ্রুতগতিতে আসে গোলাপি বল। দুপুরের দিকে বেশি মুভমেন্ট না হলেও, ফ্লাড লাইট জ্বালানোর পর বেশি নড়াচড়া করে গোলাপি বল। বুমরাহ মনে করেন অতীতে দেশের মাটিতে দুটি গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ জিতলেও, সংখ্যার বিচারে ভারত খুব বেশি গোলাপি বল খেলেনি। অস্ট্রেলিয়া ধরলে সব মিলিয়ে তিনটি গোলাপি বলের ম্যাচ খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তিনটি ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আলাদা ছিল। বেঙ্গালুরুতে ভিন্ন পরিস্থিতি হবে। তাই অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে।
advertisement
এমন কোনো ব্যাপার নেই যা দেখে বোঝা যাবে এই নিয়ম মেনে চললেই সফল হওয়া যাবে গোলাপি বলের টেস্টে। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে মাঠেই পরিস্থিতি বিচার করে গেম প্ল্যান পরিবর্তন করা হতে পারে। চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে ভারত কোন কম্বিনেশনে খেলবে? তিনজন পেসার, দুই স্পিনার? নাকি অন্যকিছু। বুমরাহ বলছেন সেটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে শনিবার সকালে। কোচ, অধিনায়ক মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি সহ-অধিনায়ক হলেও নিজেকে দলের একজন সৈনিকের বেশি ভাবতে পছন্দ করেন না বুমরাহ। তার কাছে মাঠে নেমে পারফর্ম করাটাই শেষ কথা। ব্যক্তিগতভাবে বুমরাহ পিচ, টিম কম্বিনেশন নিয়ে বেশি ভাবতে পছন্দ করেন না। তার দায়িত্ব বল হাতে বিপক্ষের উইকেট তোলা। সেটাই দক্ষতার সঙ্গে করতে চান এই মুহূর্তে ভারতের সেরা পেসার।
অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলির কাছ থেকে যেমন সাহায্য পেতেন, রোহিত শর্মার কাছ থেকেও তেমনই সাহায্য পান প্রতিনিয়ত। কোচ রাহুল দ্রাবিড় সব সময় ড্রেসিংরুমের পরিবেশ হাসিখুশি রাখেন। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে মোহালিতে সহজ জয় পেলেও, বেঙ্গালুরুর গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচে লড়াইটা ততটা একপক্ষ হবে না মনে করেন বুমরাহ।