অ্যাশেজের জন্য কঠিন কোয়ারেন্টাইন নিয়ম পালন করতে হবে সফরকারী দলকে।অস্ট্রেলিয়ার সফরে যাওয়া ইংল্যান্ড দলকেও কঠিন বায়ো বাবলের মধ্যে থাকতে হবে। এমনকি নিজেদের পরিবারকেও তারা অস্ট্রেলিয়াতে তাদের সাথে আনতে পারবেন না। এরকম খবর শোনার পর থেকেই একপ্রকার হতাশ হয়ে পড়েন অনেক ইংরেজ খেলোয়াড়। কিছু ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফ সফররত দলের সাথে যোগ দেবেন না বলে জনিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। জো রুট নিজে আসবেন না, এমনটাও শোনা যাচ্ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন - IPL 2021 SRH vs RCB : চাহাল, হর্ষলদের দুরন্ত বোলিংয়ে ব্যাকফুটে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
এই কারণেই ইংল্যান্ড খেলোয়াড়দের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ফিঞ্চ। তিনি মনে করেন ইংল্যান্ড এই ক্রিকেট মরশুমে অনেক সিরিজ খেলেছে। ঘরে বাইরে এই করোনা পরিস্থিতির জন্য অনেক ধরেনের পরিরিস্থিতির মুখোমুখিও হতে হয়েছে তাদের। তাই তাদের এই খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক। ৮ ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে অ্যাশেজ। শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ। অর্থাৎ প্রায় ৪০ দিনের মত ইংল্যান্ড খেলোয়াড়রা অস্ট্রেলিয়াতেই কাটাবেন।
অ্যারন ফিঞ্চের মতে এখনকার সময়ে করোনা পরিস্থিতির জন্য খেলার চেয়ে বেশি সময় বায়ো বাবলের মধ্যে কাটাতে হচ্ছে সফরকারী দলকে। এটি খুবই কষ্টকর। তবে ফিঞ্চ খুশি কারণ এত নিয়মের মধ্যেও ইংল্যান্ড দল অ্যাশেজ খেলতে আসছে অস্ট্রেলিয়াতে। তবে ইংল্যান্ড দলের জন্য সুখবর, অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদেরকেও অস্ট্রেলিয়াতে আসার অনুমতি দিতে রাজি হতে পারে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
অবশ্য ৮ ই ডিসেম্বরের আগে কুইন্সল্যান্ডে গোল্ড কোস্ট রিসোর্টে তাদের কোয়ারিন্টাইনে থাকতে হবে। ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট।বক্সিং ডে টেস্টের জন্য মেলবোর্নেও এবং সিডনিতে তাদের জন্য কোয়ারিন্টাইনের ব্যবস্থা করা হবে।