১. মোহনবাগানকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের খেসারত দিতে হল বলে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। ইস্টবেঙ্গল সীমিত শক্তি নিয়ে যে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে তা কল্পনাও করতে পারেনি মোহনবাগান। সুযোগের সঠিক ব্যবহারও করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড।
২. জুয়ান ফেরান্দোর স্ট্র্যাটেজিকে পুরোপুরি মাত দিয়েছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। মোহনবাগানের প্রধান শক্তি হল মাঝমাঠ। সেই মাঝ মাঠে হুগো বুমৌস, লিস্টন কোলাসে, অনিরুদ্ধ থাপা, আবদুল সামাদদে একেবারে খেলার জায়গা দেননি লাল-হলুদ কোচ। পায়ের জটলা তৈরি করে ফ্রি স্পেস বন্ধ করে দেন কুয়াদ্রাত। যার ফলে সেভাবে ভাল আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেনি মোহনবাগান।
advertisement
৩. একদিকে যেমন মোহনবাগানের মাঝমাঠকে আটকে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ঠিক অপরদিকে, ইস্টবেঙ্গল এদিন খুব ভাল কাজে লাগিয়েছে দুই প্রান্তকে। নাওরেম মহেশ, নন্দকুমার দুজনেই খুব ভাল প্রেসিং করেছে দুই প্রান্ত থেকে। যার ফলে চাপ বেড়েছে মোহনবাগানের ডিপ ডিফেন্সে।
৪. নন্দকুমারের এক দক্ষতার গোল ইস্টবেঙ্গলের জয়ের অন্যতম কারণ। ম্যাচের ৬০ মিনিট প্রতি আক্রমণে উঠে দুরন্ত গোল করেন লাল-হলুদের নন্দকুমার। অনিরুদ্ধ থাপাকে ডজ দিয়ে বাঁ-পায়ে বাঁকানো শটে সেকেন্ড পোস্ট দিয়ে বিশাল কাইথকে পরাস্ত করে চোখ ধাঁধানো গোল করে নন্দকুমার।
৫. লাল-হলুদের জমাটি রক্ষণ এই ম্যাচে সাফল্যের অন্যতম কারণ। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক হরমনজ্যোৎ খাবরা। লিস্টনকে এক প্রান্ত থেকে একাই থামিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এছাড়া ভাল পারফর্ম করেছে লাল-হলুদের পুরো ডিফেন্স লাইন।