ফুটবলে নিজেদের পারদর্শিতা এবং দক্ষতার জন্য মিলেছে সরকারি চাকরি। চলতি বছর ফুটবল খেলেই চাকরি পেয়েছেন শালবনী ব্লকের কুচাকাটা গ্রামের সীমা সিং, মিরগার সুজাতা মাহাতো ও শালবনীর সুমি দাস। তবে ইতিমধ্যেই শালবনী জাগরণ রিহ্যাবিলিটেশন সোসাইটির ফুটবল একাডেমি তরফে ৪৮ জন তরুণী ফুটবলার পেয়েছেন সিভিক ভলেন্টিয়ার এর চাকরি।
প্রসঙ্গত জঙ্গলমহলে রয়েছে প্রতিভা। তবে বেশ কয়েক বছর আগে বেশ অন্ধকারেই থাকত গ্রাম। সংসার চালাতে মাঠেই খাটতে যেতে হত সকলকে। সম্প্রতি চাকরি পাওয়া এই তরুণীদের কারও বাবা সামান্য রাজমিস্ত্রি, কারও বাবা আবার কৃষক। সোসাইটির সম্পাদক সন্দীপ সিংহ বলেন,”অ্যাকাডেমির খেলোয়াররা চারবার জঙ্গলমহল কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তিনবার রাজ্য স্তরে চ্যাম্পিয়ন। তারই পুরস্কার স্বরূপ তরুণী ফুটবলারদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সিভিক ভলেন্টিয়ারে নিয়োগ পত্র। চলতি মাসে চাকরি পেয়েছেন তিনজন।”
advertisement
প্রসঙ্গত, সামান্য কিছু আর্থিক বরাদ্দ এবং নিজেদের কিছু টাকা নিয়ে বেশ কয়েকজন মিলে ২০১১ সালে অ্যাকাডেমি গড়ে তোলেন। এরপর ধীরে ধীরে কঠোর পরিশ্রমে তৈরি করেছেন ফুটবল টিম। প্রান্তিক এলাকার মেয়েদের তুলে এনেছেন ফুটবলে। ২০১৪ সালে জঙ্গলমহল কাপ দিয়ে যাত্রা শুরু। তবে ধীরে ধীরে বহু মেয়ে ফুটবলে এগিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ IND vs NZ: ৩ তারকা বাদ! নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে মেগা চমক, কারা পাচ্ছে সুযোগ?
অ্যাকাডেমি জানাচ্ছে, সম্প্রতি অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়রা এফসি কাপ চীন, নেপালের বিরুদ্ধে খেলেছে ওমেন্স লীগেও খেলেছে তারা। শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের দুজন, চেন্নাই সেতু এফসিতে দুজন সুযোগ পেয়েছে। আর তাদের দেখেই উৎসাহিত হয়েছে অন্যরা। তবে ফুটবল খেলায় কৃতিত্বের উপহার স্বরূপ চাকরি মেলায় খুশি মহিলা খেলোয়াড়রা।






