রাজ্যের পালাবদলের পর শান্তি ফিরে আসে জঙ্গলমহলে। ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির কাঁকড়াঝোড় ,আমলাশোল, ময়ূরঝর্ণা ,ঘাগড়া, কেতকি লেক, খাঁদারানীর লেক, লালজল গুহা, ঢাঙ্গীকুসুম ও ঢেউ খেলানও পাহাড়ের টানে পর্যটকের ঢল নামতে শুরু করে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য পর্যটনের উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসনকে। সেই মত বেলপাহাড়ির আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠে বহু হোমস্টে ও গেস্ট হাউস, বাদ পড়েনি অনাহারের আমলাশোল গ্রামও। আমলাশোলেও গড়ে উঠেছে সাত থেকে আটটি হোমস্টে।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে টাইগার সাফারি! কবে থেকে এমন ভাগ্যবান হওয়ার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আমলাশোলে গড়ে ওঠা হোম-স্টেগুলির সিংহভাগ কলকাতা সহ বাইরের জেলার বিভিন্ন সংস্থার। কিন্তু এই হোমস্টেগুলিতেই ম্যানেজার থেকে শুরু করে রাঁধুনি, সাফাইকর্মী সবকিছু কাজের জন্যই নিযুক্ত করা হয়েছে আমলাশোলের বেকার যুবকদের। মাসে সাত থেকে ১০ হাজার টাকার মত বেতন। যার ফলে গ্রামের মধ্যে পরিবারের সঙ্গে থেকেই কাজ করতে পারছে আমলাশোলের যুবকরা। কাজের খোঁজে তাঁদের আর যেতে হচ্ছে না ভিন জেলায় বা ভিন রাজ্যে। আমলাশোল গ্রামের পেছনে রয়েছে বেলপাহাড়ির সবচেয়ে বড় পাহাড় ‘বড় পাহাড়’। সেই বড় পাহাড়ের নীচে প্রায় তিন চার বছর আগে থেকেই দু একটি হোমস্টে তৈরি হয়েছিল। বর্তমান সময়ে সেই হোমস্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত থেকে আটটি।
এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে আমলাশোল গ্রামের ৩০ থেকে ৩৫ জনের। এছাড়াও পর্যটনের ভরা মরশুমে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ থেকে ৭০। সেই সময় আমলাশোল এলাকার ৬০ থেকে ৭০ জন মানুষজন কাজ পায় হোমস্টেগুলিতে। এই হোম-স্টের হাত ধরেই এলাকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থিক অবস্থা সচ্ছল হচ্ছে আমলাশোলের।
বুদ্ধদেব বেরা





