প্রতিমাসে অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে তার হাতে বানানো এই জিনিস। মুনাফা পাচ্ছেন প্রতিমাসে। বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠানে কিংবা সাংস্কৃতিক আয়োজনে ব্যাজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন আগত অতিথিদের বরণ করে নেওয়ার জন্য এই ব্যাজের ব্যবহার হয়। এই ধরনের ব্যাজ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। ন্যূনতম দামেই পাওয়া যায়। তবে তাতে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ পরিবেশবান্ধব নয়। তবে প্রায় এক বছর ধরে এক যুবক নিজের বাড়িতেই তৈরি করছেন ব্যাজ। আর্ট পেপার কেটে তাকে বিভিন্ন আকৃতির ব্যাজ তৈরি করছেন তিনি। দিনের পর দিন চাহিদাও বাড়ছে বেশ।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রশাসনের আঠারো মাসে বছর! ভরসা ছেড়ে ট্যাঁকের কড়ি খসিয়ে নিজেরাই সাঁকো বানিয়ে নিলেন গ্রামবাসীরা
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির বাসিন্দা, পেশায় গৃহ শিক্ষক সুধাংশু চিংড়ি। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষের চাহিদা মত বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন সাইজের ব্যাজ তৈরি করে দিচ্ছে সে। বিভিন্ন রংবেরঙের আর্ট পেপার দিয়ে তৈরি করছেন এই ব্যাজগুলো। অনলাইন এবং অফলাইনে বিক্রি করছে গ্রাহকদের। এছাড়াও গ্রাহকদের পছন্দমত কাগজের ফুলের স্তবকও বানিয়ে দিচ্ছে সে। দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে। প্রসঙ্গত বর্তমান দিনের রেডিমেড বিভিন্ন ব্যাজে থাকে পরিবেশ অবান্ধব নানা উপকরণ। তবে সম্পূর্ণ পরিবেশ উপকারী আর্ট পেপার দিয়েই তৈরি করছে এই বরণের ব্যাজ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত ছোটবেলা থেকেই আঁকার শখ। বড় হতে মানুষের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য কাজের অবসরে তৈরি করছে এগুলো। সামান্য আর্ট পেপার এবং আঠা দিয়ে তৈরি করা যায়। সৃজনশীল এই জিনিস বানিয়ে একদিকে যেমন নিজের স্বনির্ভর হচ্ছেন তেমনই অন্যদের দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা। পাশাপাশি মাসে ভাল উপার্জনও জুটছে। যুবকের এই উদ্যোগ এবং স্বনির্ভর হওয়ার এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ