ব্রিটিশ আমলের আরএমএস টাইটানিক জাহাজ জলে ডুবে গেলেও ছোটনবাবুর টাইটানিক প্রথম যাত্রাতেই যাত্রী নিয়ে ডাঙায় ফিরে এসেছে। বছর ৩০ এর ছোটন ঘোষ নিজের হাতে ব্রিটিশ টাইটানিক জাহাজের আদলে একটি জাহাজ গড়ে তাক লাগিয়েছেন। দুর্গাপুর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুবচুরুরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছোটনবাবুর কীর্তিকলাপ বারে বারেই নজির গড়েছে। এবারেও তাঁর টাইটানিক যাত্রা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে সময় নেয়নি এক মুহুর্তও।
advertisement
ছোটনবাবুর দাবি, ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের যাত্রীবাহি টাইটানিক জাহাজ যাত্রার ঘটনা ও আটলান্টিক মহাসাগরে দুর্ঘটনায় ডুবে যাওয়ার ঘটনা কারও অজানা নয়। ওই জাহাজ নিয়ে “টাইটানিক ” সিনেমা নব্বই দশকে বিশ্বজুড়ে মানুষ দেখেছেন। মর্মান্তিক ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বহু দর্শক।
টাইটানিক নিয়ে বহু পুজো মণ্ডপে নানান থিম গড়ে উঠেছে। মানুষের মধ্যে টাইটানিক জাহাজ নিয়ে নানান কৌতূহল এক সময় দেখা গিয়েছে। অনেকে ওই জাহাজে চড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সেই ভাবনাচিন্তা নিয়েই তিনি টাইটানিক জাহাজের আদলেই একটি জাহাজ গড়ে তুলেছেন।মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য তাঁর এমন উদ্যোগ।
এলাকার বহু মানুষ তাঁর টাইটানিক জাহাজে চড়ে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করছে। উল্লেখ্য, ছোটনবাবু এর আগে চন্দ্রযান – থ্রি ও সাবমেরিনের সাদৃশ্য নানান যন্ত্রযান তৈরি করে নজির গড়েছিলেন। এছাড়াও মানব বহনকারী ড্রোন, সৌর বিদ্যুৎ চালিত ১০ সিটের সাইকেল ইত্যাদি তৈরি করেছেন বিগত দিনে। কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণের ঘটনার পরেই তিনি মহিলাদের সুরক্ষার্থে টিজার গান তৈরি করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিলেন।
এবার তিনি টাইটানিক জাহাজের অনুকরণে একটি জাহজ বানিয়ে ফের চমক দিলেন। ইতিমধ্যেই সেই জাহাজটিতে এলাকার মানুষকে চড়িয়ে এলাকার পুকুরে চালিয়ে এলাকাবাসীর মনোরঞ্জন করেন। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁর এই কীর্তিতে অবাক সমগ্র নেটদুনিয়া।
প্রসঙ্গত, ছোটনবাবু কোনও রকমে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে পেশায় ফুলের ডেকোরেটার তিনি। একসময় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে পাশে তাঁর বাবা ধ্রুবময়বাবুর একটি লরি ও বাস রঙ করা-সহ মেরামতির গ্যারেজ ছিল। ছোটন ছোটবেলা থেকেই ওই গ্যারেজের যন্ত্রাংশ নিয়ে নানান সামগ্রী বানিয়ে তুলতেন। এটাই তাঁর নেশা। বর্তমানে তাঁর তৈরি নানান যন্ত্রযান ও বিস্কুট দিয়ে তৈরি রাম মন্দির ও দিঘার জগন্নাথ মন্দির বেশ সাড়া ফেলেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।





