কুম্ভকার সম্প্রদায় ভুক্ত নন সৌম্যদীপ। তার বাবা সন্দীপ মন্ডল পেশায় তাঁত শ্রমিক। পরিবারের কেউ কখনও এ ধরনের শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত নয়। আঁকা শিখলেও প্রতিমা বানানো নির্দিষ্ট কারোও কাছ থেকে শেখেননি তিনি। বিভিন্ন প্রতিমা শিল্পীদের ঠাকুর বানানো চোখে দেখেই শিক্ষা লাভ। আর তাতেই ভরসা করে, একটি রাধা কৃষ্ণ, একটি কালী প্রতিমা, চারটি গোপাল এবং তিনটি সরস্বতী বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভর করে জেলা পেরিয়ে পৌঁছেছিল কলকাতায়। আর তাতেই খানিকটা সাহস পেয়েছিলেন।
advertisement
এভাবেই সৌমদীপের তৈরি ছোট প্রতিমা পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বর্তমানে চলছে দুর্গা প্রতিমা নির্মাণের কাজ, বিক্রির প্রতীক্ষা। আঁকতে ভালোবাসেন সৌম্যদীপ, তাই এ কাজে তুলিই ভরসা ছিল তাঁর। বাবা মার একমাত্র সন্তান হওয়ার কারণে, উপার্জনের চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই । তবে ঘর সাজানো সৌখিন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যার ফলেই দিনের পর দিন বাড়ছে মিনিয়েচারের প্রতি ঝোঁক।
তবে এবারের যে প্রতিমা অর্ডার পেয়েছে, তা যাবে কলকাতায়, সেই বাড়িতে বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত এ ধরনের ছোটো ঠাকুরই পূজিত হয়ে আসছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের ঠাকুর পূজিত না হলেও শোপিস করে রাখার প্রবণতা ইদানিং বেড়েছে। তাই একদিকে যেমন বিসর্জন না হওয়ার কারণে অর্ডার কম আসে অন্যদিকে একজনে দেখে অন্যজনের ঘরে শোভা বর্ধনের জন্য দুর্গা প্রতিমা রাখার প্রবণতা বেড়েছে।
আর সেই আবেগকেই কাজে লাগাতে চান সৌমদীপ। তবে তার ভালোবাসার এবং স্বপ্নের শিল্পকর্মকে বাঁচিয়ে রাখতে সহযোগিতা প্রার্থনা করেছে বড় বিক্রির প্ল্যাটফর্ম এবং গুণী শিল্পীর সান্নিধ্য। এছাড়া আর কোনও চাহিদা নেই সৌমদীপের। বর্তমানে সৌমদীপের শিল্পকর্মের প্রশংসা করছেন অনেকেই।
Mainak Debnath