বেশ কয়েকদিন আগে মগরাহাট থানার অন্তর্গত উড়ালচাঁদপুর ঘোষপাড়া এলাকায় রাস্তার কাজ করার জন্য দীপক এসেছিলেন। তিন দিন আগে উড়ালচাঁদপুর এলাকা থেকেই তিন সহকর্মীর সঙ্গে ধনপোতা এলাকায় হেডফোন কেনার জন্য যান। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে মগরাহাট থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অবশেষে বুধবার সকালে স্থানীয় একটি খাল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হল।
advertisement
এদিন সকালে স্থানীয় খালে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন এলাকাবাসী। তড়িঘড়ি মগরাহাট থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে মগরাহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ ডায়মন্ড হারবার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপচাঁদ মোদি, রাজু মোদি, বাপন মোদি নামে তিন সহকর্মীর সঙ্গে হেডফোন কিনতে গিয়েছিলেন দীপক। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এদিন স্থানীয় খাল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন সহকর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে মগরাহাট থানার পুলিশ। দীপককে খুন করা হয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঠিকাদার সংস্থার কন্ট্রাক্টর রামকৃষ্ণ দাস জানান, কাজ শেষে রাতের দিকে ওঁরা চার-পাঁচজন হেডফোন কিনতে যাবে বলে বেরিয়েছিল। আমি তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে বলেছিলাম। এরপর সকলে চলে এলেও দীপক আর আসেনি। তাঁর সঙ্গে যাওয়া সঙ্গীদের জিজ্ঞেস করলেও তাঁরা কোনও উত্তর দেয়নি। এরপর আমি মগরাহাট থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করি। সেই সঙ্গেই চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। এত কিছুর পরেও দীপককে আমরা খুঁজে পাইনি। অবশেষে আজ দেহ উদ্ধার হল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে এই বিষয়ে বলেন, মগরাহাট থানার পুলিশ উড়ালচাঁদপুর এলাকার একটি খাল থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে। ওই যুবকের নাম দীপক ভূঁইয়া। বাড়ি বাঁকুড়া জেলার হেরিয়া থানা এলাকায়। বেশ কয়েকদিন আগে রাস্তার কাজ করার জন্য ওই যুবক মগরাহাটে এসেছিলেন। প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হেডফোন কেনার নাম করে ওই যুবক তাঁর বেশ কয়েকজন সঙ্গীদের নিয়ে বেরিয়েছিল। এরপর নিখোঁজ হয়ে যান। মগরাহাট থানায় ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই যুবকের সঙ্গে যাওয়া তিন সঙ্গীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। খুন নাকি অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।






