আসানসোল বি বি কলেজ ও বর্ধমান সেরিকালচারের উদ্যোগে একটি পিছিয়ে পড়া আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের মহিলা পুরুষদের আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলতে তাদের রেশম তসর গুটি পোকার চাষ এর বিভিন্ন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই গুটিপোকার চাষ করে ভালরকম সাড়া পড়ছে এলাকায়। স্বাভাবিকভাবে তাদের তৈরি এই গুটি পোকা বাজারে বিক্রি করার পরে তাদের হাতে উপার্জিত টাকা তুলে দেওয়া হবে এবং তাঁরা আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হবেন।
advertisement
আসানসোল বিবি কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ বসু বলেন, ‘আমরা ওই গ্রামে দুটো গ্রুপ করে দিয়েছি সেখানে পুরুষ এবং মহিলারা যৌথ উদ্যোগে কাজ করছেন। তাদের সুবিধার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজ করে দেওয়া হয়েছে। এবং তারা ভাল রকম কাজ করছেন’। আসানসোল বি বি কলেজ স্থাপিত হয় ১৯৪৪ সালে। এটি বর্তমানে আসানসোল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় তত্ত্বাবধান রয়েছে। স্নাতক এর পাশাপাশি স্নাতকোত্তর বিষয়েও পড়ানো হয়। কলেজের উদ্যোগে এবং বর্ধমান সেরিকালচার বিভাগের উদ্যোগে আসানসোলের নামু জামডোবা গ্রামের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মহিলাদের এবং পুরুষদের আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ওই আদিবাসী এলাকায় প্রায় ৫২ টি পরিবার রয়েছে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার দিনমজুর এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, তাই তারা সবসময় কাজ পান না। তাদের বিকল্প আয় দেখিয়ে আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলতে এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই এলাকায় পূর্বে প্রায় ৩৫ হাজার অর্জুন গাছের চারা লাগান হয়েছে। বর্তমানে আরও সাড়ে সাত হাজার অর্জুন গাছের চারা লাগান হয়েছে। যে চারা গাছগুলির উপর নির্ভর করে বেড়ে উঠছে রেশম তসর গুটি পোকা। গুটি পোকা বড় হয়ে যাওয়ার পর সেগুলি বিক্রি করে যা আয় হচ্ছে সেই আয় সম্পূর্ণ মহিলাদের হাতে তুলে দিচ্ছে কলেজ। স্বাভাবিক ভাবেই কলেজের এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন।