আগে পৌষমেলায় অংশগ্রহণ করত পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ত্রিপুরা, হরিয়ানা, ওড়িশা, জম্মু- কাশ্মীর-সহ ভিনদেশি নেপাল, ভুটান, মায়ানমার ও বাংলাদেশের শিল্পীদের সম্ভার নিয়ে বিভিন্ন স্টল। তবে এবছর ভিনরাজ্য অথবা ভিন দেশি হস্তশিল্পীদের কাজের ছোঁয়া পাবেন না মেলাপ্রেমীরা। কারণ অল্প সময়ের মধ্যে ভিন রাজ্য অথবা অন্য দেশের প্রতিনিধিদের প্রস্তুতি অসম্ভব। তাই এবছর পৌষমেলায় আসতে পারছেন না বাইরের হস্তশিল্পীরা। যদিও বুধবার বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ রীতি নির্ধারণ কমিটি কর্মসমিতির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মনোনীত সদস্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিষ্ঠ অধ্যাপক, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য-সহ প্রাক্তন অধ্যাপকরা সম্মতিক্রমে মেলার যাবতীয় অনুমোদন দিয়েছেন।
advertisement
উপাচার্য বিনয়কুমার সোরেন জানান, “বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির বৈঠকে সর্বসম্মতি ক্রমেই পৌষমেলার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ দূষণ বিধি মেনেই এবারে হতে চলেছে পৌষ উৎসব। তবে ভিন রাজ্য ও ভিনদেশি স্টল যাতে মেলার অংশ করে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।” তবে বিশ্বভারতীর কর্মীদের একাংশের দাবি, রাজ্য অথবা বিভিন্ন দেশের সরকারি যে সমস্ত স্টলগুলিকে অন্তত দু’মাস আগে আবেদন জানানোর নিয়ম রয়েছে।কারণ অল্প সময় দিলে বিভিন্ন দফতর থেকে নির্দেশিকা আসতে দেরি হয়ে যায়। ফলে আসতে পারেন না বাইরের হস্তশিল্পীরা।
আরও পড়ুন-স্বামী বাড়িতে না থাকলেই এসব করতেন ঐশ্বর্য…! এতদিনে ফাঁস করলেন অভিষেক, জানলে রাতের ঘুম উড়বে আপনারও
পৌষমেলায় আগত পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ থাকে ভিনরাজ্য অথবা ভিনদেশিদের হস্তশিল্পীদের স্টল। কিন্তু এবছর সময় কম থাকায় হয়ত অনেকেই আসতে পারবেন না। তবে এবছর সুযোগ না থাকলেও পরের বছর আগে থেকেই ভিনরাজ্য অথবা ভিনদেশিদের স্টলে আমন্ত্রণ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেই স্পষ্ট করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
সৌভিক রায়