পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার যমুনা দীঘি। পাখিদের কিচি মিচি, মাছেদের কিলবিল। রাস্তার দুপাশে সবুজ ধানের ক্ষেত, সিরিশ, আম, কাঁঠাল এবং শিশু গাছের সমাহার রয়েছে যমুনা দীঘিতে। সপ্তাহান্তে হোক বা পুজোর ছুটিতে খোলা আকাশের নিচে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে চলে আসুন যমুনা দীঘিতে।
এখনকার পরিবেশ কেমন, কী কী আছে ?
রাঙামাটির রাস্তা দিয়ে আম্র শাখার মধ্যে আলো আঁধারি পরিবেশ এই সরোবরের। শিশুদের খেলার জায়গা থেকে শুরু করে বড়োদের নিরিবিলিতে আড্ডা দেওয়ার জায়গা সবই আছে এখানে। যমুনা দীঘির চারপাশ ঘিরে রয়েছে আম গাছ। যমুনা দীঘিতে এলে আপনি যেদিকেই চোখ রাখবেন নজরে আসবে শান্ত নিটোল জলের পাশে সারসদের নিভৃতে আলাপচারিতা।
advertisement
রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের অধীনে যমুনা দীঘিতে বিস্তৃত ২৫ হেক্টর জমি চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়। বেশ কয়েকটি দীঘি রয়েছে এখানে।
প্রত্যেক পুকুরে রুই, কাতলা ও মৃগেলের মতো বড় মাছ চাষ করা হয় এখানে। মৎস্য বিভাগ এখানে একটি বাগানও রক্ষণাবেক্ষণ করে।
এলাকার একটি অংশ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। আপনি চাইলে প্যাডেল বোর্ডেও দীঘিতে ভেসে বেড়াতে পারেন।
কী ভাবে যাবেন ?
হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে আপনাকে নামতে হবে মানকার স্টেশনে। স্টেশনে নেমে গাড়ি ধরে চলে আসুন যমুনা দীঘি। মাত্র ৪৫ মিনিট লাগে স্টেশন থেকে আসতে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে একটি বাসে উঠুন, নেমে যান পরাজ মোরে।
কোথায় থাকবেন আপনি?
আম্রপালি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স হল বেশ ভালো থাকার জায়গা। পুরনো অফিস ভবনগুলি পরিণত হয়েছে বিশ্রামাগারে। এখানেও থাকতে পারবেন আপনি। অবশ্যই আসুন বুকিং করে।
Malobika Biswas