আরও পড়ুন: হাসপাতালের বেডেই পড়ে রইল বৃদ্ধের দেহ! ছেলে-জামাইকে ফোন করলেও এল না কেউ
তমলুকের নিমতৌড়ি এলাকার একটি কালী মন্দিরের সামনের মাঠে দক্ষিণবঙ্গ যাত্রা সংস্থার পক্ষ থেকে ১০ দিনের যাত্রা মেলা বা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যাত্রা সংস্থা নয়, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার যাত্রা সংস্থার যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হবে। এই যাত্রা উৎসব ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক সহ তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র।
advertisement
যাত্রা উৎসব উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে এসে মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী জানান, গ্রামবাংলা তথা বাঙালির প্রাচীন বিনোদনের মাধ্যম যদি কিছু থাকে তা হল যাত্রাশিল্প। এই যাত্রাশিল্পের বিস্তার ও ব্যাপ্তি বাঙালির মননে। একসময় কলকাতার বিখ্যাত যাত্রাপালার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার যাত্রা পালাগুলি উৎসব অনুষ্ঠানে গ্রামেগঞ্জে রমরমিয়ে অনুষ্ঠিত হত। টিকিট কেটেও যাত্রাপালা শোনার হুড়োহুড়ি পড়ে যেত। কিন্তু একটা সময় পর যাত্রাশিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই পরিস্থিতি বদলের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বর্তমান সময়ে টিভির পাশাপাশি পকেটে থাকা মোবাইল ৮ থেকে ৮০ সব বয়সী মানুষের প্রধান বিনোদনের অবলম্বন হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, স্যাটেলাইট চ্যানেল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াকে মানুষ বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। বিভিন্ন সিরিয়াল সিনেমা ওয়েব সিরিজ একটা সময় যাত্রাশিল্পকে কোণঠাসা করেছিল। কিন্তু এতসব কিছুর পরেও এই ৫০০ বছরের প্রাচীন বিনোদনের মাধ্যম এখনও প্রাসঙ্গিক। কারণ যাত্রা শিল্প লাইভ আর্ট ফর্মের একটি মাধ্যম। ফলে যাত্রা শিল্প সরাসরি মানুষের মননে প্রভাব ফেলায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথমবার দক্ষিণবঙ্গ যাত্রা উৎসবের আয়োজনে সাড়া পড়েছে সাধারণ মানুষের।
সৈকত শী