বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্বভার রয়েছে চ্যাটার্জী পরিবারের উপর। এই পুজোর মূল ঐতিহ্য হল একই মন্দিরে দুই মাতৃশক্তির আরাধনা। মা দুর্গা ও মা কালী পুজিত হন একই সঙ্গে। প্রাচীন এই পুজোয় ভক্ত সমাগম থাকেই চোখে পড়ার মত। বহু-দূরান্ত থেকে ভক্তদের আগমন হয় এই পুজোয়। একেবারে উৎসবের চেহারা নেয় মন্দির প্রাঙ্গণ। কালীপুজোর সময় মা কালীকে বিশেষ নৈবিদ্যে ভোগ নিবেদনের রীতি প্রচলিত রয়েছে। বিশেষ করে সেই ভোগের তালিকায় অতি অবশ্যই থাকে মাছ।
advertisement
এ বিষয়ে চ্যাটার্জী পরিবারের সদস্য সিদ্ধেশ্বর চ্যাটার্জী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা এই পুজো করে আসছেন। আগে মাটির মূর্তি ছিল মা কালী ও মা দুর্গার। দুটি মন্দির আলাদা আলাদা ভাবেই করা ছিল। পরবর্তীতে দুই মায়ের শিলা মুর্তি করা হয়েছে। এবং তারপর থেকেই তাদের একই সঙ্গে একই মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আঁখ ও চাল কুমড়ো বলি দেওয়া হয় তাদের পুজায়। বহু মানুষের ভিড় হয় এই কালীপুজোয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকার এক বাসিন্দা দেবীলাল রজক বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এই মন্দিরের মা কালী খুবই জাগ্রত।
ভক্তদের মনোবাসনা পূরণ হয় এই মন্দিরে।
পুরুলিয়া জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গাতে ঐতিহ্যবাহী কালীপুজো হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম বেগুনকোদরের চ্যাটার্জী পরিবারের এই কালীপুজো। মানুষের ভক্তি, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে মিশে রয়েছে এই পুজো।