কী ঘটেছে রবিবার?
ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিং হালিশহরে কর্মীসভায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে অর্জুন সিং-সহ বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। অভিযোগ, অর্জুনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। বিজেপি কর্মীরা পাল্টা তৃণমূলের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে, ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
advertisement
এই হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় অবরোধ-বিক্ষোভ চলে ব্যারাকপুর লোকসভা এলাকায়। প্রথমে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে শ্যামনগর মোড়ে অবরোধ করা হয়। তারপর অবরোধ হয় পানপুর মোড়ে। হালিশহরে অবস্থান বিক্ষোভ ও ধিক্কার সভা করে তৃণমূল।
অবরোধকারী বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায় তৃণমূল হামলা চালিয়েছে সাংসদের বুলেটপ্রুফ গাড়িতে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে। এদিকে অর্জুন সিং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা না নিলে 'অ্যাকশনের পাল্টা রিঅ্যাকশন' হবে'। অর্থাৎ সেই রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত পাচ্ছেন হালিশহরের বাসিন্দারা। তাতেই আতঙ্কিত হালিশহরবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হালিশহরের এক ব্যবসায়ী বলেন, "করোনার জেরে এমনিতেই দীর্ঘদিন আমাদের দোকান বন্ধ ছিল। রুজি-রুটির জোগাড় করতে পারিনি। এক পয়সাও আয় হয়নি। গত বছর ভাটপাড়ার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, প্রায় এক থেকে দু'মাস সেখানে কোনও দোকানপাট ঠিকমতো খুলতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পেয়েছেন। এবার হালিশহরেও যদি একই পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে আমাদের পথে বসতে হবে। আমরা সেটা চাইছি না। রাজনৈতিক দলগুলি যদি একটু সংবেদনশীল হয়ে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করে, তাহলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।"
SUJOY PAL