TRENDING:

North 24 Parganas News: 'ডাক্তার দিদিমণি'-কে এখনও ভুলতে পারেনি মধ্যমগ্রামবাসী, আজও চোখে ভাসে মুক্ত ঝরা হাতের লেখা

Last Updated:

North 24 Parganas News: আজও মধ্যমগ্রাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস স্পেশ্যালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের (মধ্যমগ্রাম মাতৃসদন)-এর নার্স থেকে শুরু করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা ভুলতে পারেননি সেই ডাক্তার দিদির নম্র স্বভাব, আন্তরিকতা আর মুক্তোর মতো হাতের লেখার কথা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনা, রুদ্র নারায়ণ রায়: চলে গিয়েও যেন এভাবেই রয়ে গিয়েছেন তিনি। সোদপুরের বাসিন্দা আরজি কর কাণ্ডে মৃত তরুণী চিকিৎসক, তার পুরনো কর্মস্থলের সহকর্মীদের কাছে ছিলেন ‘ডাক্তার দিদি’ নামেই পরিচিত। আজও মধ্যমগ্রাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস স্পেশ্যালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের (মধ্যমগ্রাম মাতৃসদন)-এর নার্স থেকে শুরু করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা ভুলতে পারেননি সেই ডাক্তার দিদির নম্র স্বভাব, আন্তরিকতা আর মুক্তোর মতো হাতের লেখার কথা।
advertisement

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত অবস্থায় এক বছর আগে ঘটে যায় সেই নৃশংস ঘটনা যা নাড়িয়ে দিয়েছিল সকলকে। যদিও অপরাধী একজন শাস্তি পেয়েছে, তবু তদন্তে সন্তুষ্ট নয় পরিবার। সহকর্মীরাও মনে করেন, এমন একজন ভাল চিকিৎসককে হারানোর ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। মধ্যমগ্রাম মাতৃসদনে আর.এম.ও হিসেবে কর্মরত ছিলেন নৃশংস হত্যার শিকার হওয়া তরুণী চিকিৎসক।

advertisement

আরও পড়ুন-‘দেহব্যবসা করেই এসব কামিয়েছি…!’ টয়লেট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা বেরতেই আদালতে সাফ উত্তর বলি নায়িকার, তারপরই শুরু নরকযন্ত্রণা, জীবনটাই চলে গেল অকালে…

ওয়ার্ড মাস্টার সুশান্ত পাল জানান, একজন চিকিৎসক হিসেবে ওনার দায়িত্ববোধ ছিল আলাদা মাত্রার। হ্যান্ড-ওভার, টেক-ওভার সবকিছু অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে করতেন। কখনও ১২ ঘণ্টা, কখনও টানা ২৪ ঘণ্টাও চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছেন। তার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নৃশংস বললেও কম বলা হবে। তদন্তও মাঝপথে থেমে গিয়েছে। হাসপাতালের আইসিইউ থেকে গাইনো ও ইমার্জেন্সি, সব ক্ষেত্রেই পরিষেবা দিয়েছেন ওই তরুণী চিকিৎসক।

advertisement

View More

আরও পড়ুন-১০০ বছর পর মহাদুর্লভ রাজযোগ…! রাখি পূর্ণিমায় কপাল খুলছে ৩ রাশির, অঢেল টাকার ফোঁয়ারা, উপচে পড়বে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, যা ছোঁবে তাই সোনা

নার্স মঞ্জুরি দত্ত ধর স্মৃতিচারনা করে বলেন, চিকিৎসক হয়েও রোগী ও সহকর্মীদের সঙ্গে মিশতেন সহজভাবে। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও, করোনাকালে ওনার চিকিৎসা পরিষেবা দেখে সকলেই মুগ্ধ হয়েছেন। আর ‘ডাক্তার দিদির’ হাতের লেখা ছিল মুক্তোর মতো, যা চিকিৎসকদের মধ্যেও প্রায় বিরল। এখনও যেন হাসপাতালের কর্মীদের চোখে ভাসছে সেই মুক্ত ঝরা লেখার কথা। বর্তমানে মধ্যমগ্রাম মাতৃসদনে বেড়েছে আইসিইউ বেড, ওপিডি পরিষেবা থেকে হয়েছে বিল্ডিং উন্নয়ন, কিন্তু হাসপাতালের কর্মীরা বলছেন যে তরুণী চিকিৎসক এখান থেকে চিকিৎসক জীবনের সূচনা করেছিলেন, তিনি আজ নেই। তাঁর অবদান, নিষ্ঠা আর হাসিমাখা ব্যবহার এই হাসপাতালের স্মৃতিতে থেকে যাবে অমলিন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নদী নাকি শুকিয়ে যাওয়া জমি ধরতে পারবেন! ইছামতীর প্রাণ ফেরাতে দারুণ উদ্যোগ
আরও দেখুন

Rudra Narayan Roy 

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
North 24 Parganas News: 'ডাক্তার দিদিমণি'-কে এখনও ভুলতে পারেনি মধ্যমগ্রামবাসী, আজও চোখে ভাসে মুক্ত ঝরা হাতের লেখা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল