আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত অবস্থায় এক বছর আগে ঘটে যায় সেই নৃশংস ঘটনা যা নাড়িয়ে দিয়েছিল সকলকে। যদিও অপরাধী একজন শাস্তি পেয়েছে, তবু তদন্তে সন্তুষ্ট নয় পরিবার। সহকর্মীরাও মনে করেন, এমন একজন ভাল চিকিৎসককে হারানোর ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। মধ্যমগ্রাম মাতৃসদনে আর.এম.ও হিসেবে কর্মরত ছিলেন নৃশংস হত্যার শিকার হওয়া তরুণী চিকিৎসক।
advertisement
ওয়ার্ড মাস্টার সুশান্ত পাল জানান, একজন চিকিৎসক হিসেবে ওনার দায়িত্ববোধ ছিল আলাদা মাত্রার। হ্যান্ড-ওভার, টেক-ওভার সবকিছু অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে করতেন। কখনও ১২ ঘণ্টা, কখনও টানা ২৪ ঘণ্টাও চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছেন। তার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নৃশংস বললেও কম বলা হবে। তদন্তও মাঝপথে থেমে গিয়েছে। হাসপাতালের আইসিইউ থেকে গাইনো ও ইমার্জেন্সি, সব ক্ষেত্রেই পরিষেবা দিয়েছেন ওই তরুণী চিকিৎসক।
নার্স মঞ্জুরি দত্ত ধর স্মৃতিচারনা করে বলেন, চিকিৎসক হয়েও রোগী ও সহকর্মীদের সঙ্গে মিশতেন সহজভাবে। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও, করোনাকালে ওনার চিকিৎসা পরিষেবা দেখে সকলেই মুগ্ধ হয়েছেন। আর ‘ডাক্তার দিদির’ হাতের লেখা ছিল মুক্তোর মতো, যা চিকিৎসকদের মধ্যেও প্রায় বিরল। এখনও যেন হাসপাতালের কর্মীদের চোখে ভাসছে সেই মুক্ত ঝরা লেখার কথা। বর্তমানে মধ্যমগ্রাম মাতৃসদনে বেড়েছে আইসিইউ বেড, ওপিডি পরিষেবা থেকে হয়েছে বিল্ডিং উন্নয়ন, কিন্তু হাসপাতালের কর্মীরা বলছেন যে তরুণী চিকিৎসক এখান থেকে চিকিৎসক জীবনের সূচনা করেছিলেন, তিনি আজ নেই। তাঁর অবদান, নিষ্ঠা আর হাসিমাখা ব্যবহার এই হাসপাতালের স্মৃতিতে থেকে যাবে অমলিন।
Rudra Narayan Roy