জলের চাপে কাঠের সাঁকো আগেই ভেঙেছে। বর্ষায় ৬-৭টি গ্রামের মানুষের ভরসা তাই নৌকা। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? স্থায়ী সমাধানের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে প্রথম! দূর হবে জল জমার সমস্যা! বারাসাতে তৈরি হচ্ছে…, অভিনব উদ্যোগ পৌরসভার
পরপর বন্যায় শীলাবতী নদীতে জল বাড়ার ফলে যাতায়াতের কাঠের সেতু ভেঙেছে। নদীর উপর থাকা কাঠের সেতু ভেঙে যাওয়ায় নৌকোয় করে যাতায়াত করতে হয় ৬-৭টি গ্রামের মানুষকে। নদীতে জল কিছুটা কমলে নদীর উপর দিয়ে জল পেরিয়ে হেঁটে চলাচল করতে হয় তাঁদের। হেঁটে পারাপার করতে গিয়ে কয়েকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান চাইছেন এলাকার মানুষজন।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষকিরা এলাকার এমনই ছবি। প্রতিনিয়ত এই নদী পেরিয়ে ঘোষকিরা, ধর্মপোতা, কল্লা, খুড়শি, ধাইখণ্ড সহ আরও বিভিন্ন গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। প্রশাসনিক দফতর থেকে শুরু করে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেতে হলেও অনেকটা ঘুরপথে যেতে হয়। এই নাজেহাল দশা নিয়ে এবার সরব সাধারণ মানুষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বারবার বন্যা হয়। জল বাড়লেই থমকে যায় সব। প্রকৃতির রোষ থেকে বাঁচা যায় না ঠিকই তবে বন্যা হওয়ার আগেই যদি কিছু প্রস্তুতি থাকে তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কম হয়। একটি স্থায়ী সমাধান, একটি পাকা সেতু হলে ৬-৭টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের বাড়তি সময় বাঁচে। এভাবে নাজেহাল হতে হয় না। গ্রামবাসীর এই দাবি কি আদৌ পূরণ হবে? সময়ই উত্তর তাঁর দেবে।