আরও পড়ুন: হঠাৎ আগুনে পুড়ে গেল পরপর দুটি বাড়ি, কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার
বাঁকুড়ার বিখ্যাত কেঞ্জাকুড়া গ্রামের কাঠ শিল্পীদের অন্যতম হলেন সাধন কর্মকার। গ্রামে ২৪ জন কাঠের শিল্পী রয়েছেন। মাত্র দু’জন কাঠ শিল্পী সুযোগ পেয়েছিলেন সরকারিভাবে বাইরে গিয়ে কাজ শিখে আসার। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন সাধন কর্মকার। প্রথমে বাঁশের কাজ দিয়ে হাতেখড়ি হয়। তারপর শুরু করেন কাঠের কাজ। কেঞ্জাকুড়া গ্রামেই তাঁর বাড়িতে কাজ করেন একাধিক মহিলা কাঠ শিল্পী। বাড়িতেই তৈরি হয় কাঠের বিভিন্ন সরঞ্জাম। ছোট চাবির রিং থেকে শুরু করে, কাঠের খেলনা, কাঠের গরুর গাড়ি কিংবা কাঠের সারস। একদম কম দাম থেকে সর্বাধিক দামেরও কাঠের জিনিস পেয়ে যাবেন এই গ্রামে।
advertisement
এখানে ঘুরতে এসে কাঠের তৈরি জিনিস কেনার ক্ষেত্রে ঠকার ভয় নেই। শিল্পীরা ন্যায্য দাম নিয়ে থাকেন। প্রায় ৪০ বছর পুরানো ৪০ পয়সার কাঠের খেলনা, ২ টাকা চার আনার গরুর গাড়ি থেকে একটু একটু করে বড় হয়েছে কেঞ্জাকুড়া গ্রামের কাঠ শিল্প।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
শীতকালে বাইরে থেকে বহু পর্যটক কেঞ্জাকুড়ায় ঘুরতে আসেন। তাই এবার যদি কেউ কেঞ্জাকুড়া গ্রামে আসেন তবে অবশ্যই ঘুরে দেখুন কাঠ শিল্পীদের বাড়ি। আপনাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাবেন তাঁরা। পছন্দ হলে কিনে নিন চোখ ধাঁধানো কাঠের জিনিস।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী