বাবার দুয়ারে এসে পড়ে আশ্রয় নিয়েছেন আগেই সাকিনা। তিরস্কারের মধ্যে দিয়ে দিন যাপন চলে সাকিনার। একদিন বাবা-মাও ছেড়ে চলে যায়। তারপর থেকেই নিজের দিদি আর মেয়ে-জামাইকে নিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছিল সাকিনার। রোজগার বলতে সাকিনাই তাঁদের পরিবারের একমাত্র অবলম্বন।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে সাকিনার পাশে দাঁড়ানোর কেউ ছিল না। বুক ভরা যন্ত্রণা আর দু-চোখে অশ্রু নিয়ে গ্রহণ করে ঋণ। সেই সঙ্গে সোনার গয়না বন্ধক দিয়ে একটা টোটো ক্রয় করেছিলেন সাখিনা। পরে নতুন করে শুরু করে দিনযাপন। একদিকে মাথায় ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে সংসারের হাল। এই নিয়ে কষ্টে কাটছে সাখিনার জীবন।
সৎপথে রোজগারের জন্য ৩৫ বছর বয়সী সাখিনার টোটোর হ্যান্ডেলে হাত আর তাতেই কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকার বুদ্ধিজীবী থেকে বিশিষ্ট জনেরা। সাখিনার হয়ে অনেকেই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন। তবে টোটো চালিয়ে নিজেই স্বর্নিভর হয়ে সংসারের হাল ধরেছেন। যা অর্থ উপার্জন করেন তা দিয়েই চলে তাদের সংসার।
Kaushik Adhikary